নিউজ ডেস্ক: রেকর্ড ভাঙার জন্যই তৈরি হয়। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এস্তোনিয়ান ব্যাটসম্যান সাহিল চৌহান (Sahil Chauhan) টপ-অর্ডারের পতনের পর মাত্র ২৭ বলে দ্রুততম (Fastest T20 Century) টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করে তা সঠিক প্রমাণ করেছেন। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যখন বহু দল ১০০ রান করতেই হিমসিম খাচ্ছে, চৌহান একাই সাইপ্রাসের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৪৪ রান করেন ১৮টি ছক্কা মেরে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এস্তোনিয়ার হয়ে চৌহানের টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়। তিনি তাঁর প্রথম তিনটি ইনিংসে ১৬, ২ এবং ০ স্কোর করেন। অপরাজিত ১৪৪ রান করার আগের ম্যাচে সাইপ্রাসের বিপক্ষে তিনি শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন।
এতদিন টি-২০ ক্রিকেটে দ্রুততম শতরানের রেকর্ড ছিল ‘ইউনিভার্সাল বস’ ক্রিস গেইলের পকেটে। আইপিএলে তিনি ৩০ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক টি২০-তে নামিবিয়ার ব্যাটসম্যান জান নিকোল লোফটি-ইটন দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন এতদিন। জন নিকোল লোফটি-ইটনে মাত্র ৩৩ বলে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি দ্রুততম (Fastest T20 Century) সেঞ্চুরির রেকর্ডটি নিজের নামে করেছিলেন। পূর্ণ সদস্য দেশগুলির মধ্যে, দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার এবং রোহিত শর্মা ২০১৭ সালে তাদের নিজ-নিজ ৩৫ বলের সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল। এপিস্কোপিতে সাইপ্রাসের বিরুদ্ধে ১৯২ রান তাড়া করতে চৌহান প্রথম ওভারে ব্যাট করতে আসেন। এসেই ছক্কা হাঁকাতে শুরু করেন তিনি। এদিন সাহিল (Sahil Chauhan) সকলের রেকর্ড এক ধাক্কায় ভেঙে চুরমার করে দিলেন।
পঞ্চম ওভারে তৃতীয় উইকেটের পতনের পর চৌহান অলআউট আক্রমণে যান। পাওয়ারপ্লে ওভারের শেষ ওভারে তিনি মঙ্গলা গুনাসেখরাকে চারটি ছক্কা ও একটি চার মারেন। মাত্র ১৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। অন্য প্রান্তে আরেকটি উইকেট পড়েছিল কিন্তু এটি সাহিল চৌহানকে প্রভাবিত করেনি। অনায়াসে বাউন্ডারি পার করতে থাকেন। নবম ওভারে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান তিনি। খেলার অর্ধেক পর্যায়ে, এস্তোনিয়া ৪ ইউকেটে ছিল ১৫৪। ১৩তম ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে রান তাড়া শেষ করেন সাহিল। ৪১ বলে (Fastest T20 Century) তাঁর অপরাজিত ১৪৪ রান ছিল। ১৮ ছক্কা ও ৬টি চারের সাহায্যে ম্যাচ জেতান সাহিল চৌহান (Sahil Chauhan) । সাত ওভার বাকি থাকতে সাইপ্রাসকে ছয় উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় এস্তোনিয়া।