নিউজ ডেস্ক: মঙ্গল-সন্ধ্যায় বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। বৈঠক হবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বাসভবনে। লোকসভায় স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার কারা হবেন, তা ঠিক করতেই বৈঠকে বসছেন পদ্ম নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন এনডিএর কয়েকটি শরিক দলের নেতারা। সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হবে ২৩ জুন। তার দুদিন পরে ২৬ তারিখে হবে স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন।
স্পিকার নির্বাচন (BJP)
লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কোনও সাংসদকেই স্পিকার পদে মনোনীত করা হয় (BJP)। প্রথা মেনে ডেপুটি স্পিকারের পদটি দেওয়া হয় বিরোধীদের। গত লোকসভার অধিবেশনে ডেপুটি স্পিকার পদে কাউকে বসানো হয়নি। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল দেশজুড়ে। কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা বলেন, “সরকার যদি ডেপুটি স্পিকারের পদটি বিরোধীদের না দেয়, তাহলে আমরা লোকসভার স্পিকার পদে প্রার্থী দেব।” প্রসঙ্গত, আগামী সপ্তাহে স্পিকার নির্বাচনে বিরোধীরা যদি সরকার পক্ষকে বাধ্য করেন, তাহলে স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম হবে। কারণ এতদিন পর্যন্ত স্পিকার বেছে নেওয়া হত সর্বসম্মতিক্রমে। এই দায়িত্ব সচরাচর বর্তায় কোনও অভিজ্ঞ সাংসদের ওপর। প্রথম স্পিকার সেন্ট্রাল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলিতে।
প্রথম স্পিকার নির্বাচন হয়েছিল পরাধীন ভারতে, ১৯২৫ সালের ২৪ অগাস্ট। এই নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন স্বরাজি পার্টির মনোনীত প্রার্থী ভিত্তালভাই জে প্যাটেল। তিনি পরাজিত করেছিলেন টি রঙ্গচারিয়ারকে। মাত্র দুটি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন প্যাটেল। তিনি পেয়েছিলেন ৫৮টি ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর ঝুলিতে গিয়েছিল ৫৬টি ভোট। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে স্পিকার নির্বাচিত হন সর্বসম্মতিক্রমে। তবে এমএ আয়েঙ্গার, জিএস ধিলোঁ, বলরাম জাখর এবং জিএমসি বালাযোগী পরবর্তী লোকসভাগুলিতেও স্পিকার মনোনীত হয়েছিলেন। রিপোর্ট বলছে অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হবে ২৪ জুন। এই অধিবেশনে প্রথমে শপথ নেবেন সাংসদরা। পরে হবে স্পিকার নির্বাচন। প্রথা মেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পিকার নির্বাচনে মোশন আনবেন ২৬ তারিখে।প্রসঙ্গত, বর্ষীয়ান সাংসদ কংগ্রেসের কে সুরেশকে লোকসভায় প্রোটেম স্পিকার করা হতে পারে। তাঁর কাছেই (BJP) শপথ নেবেন সাংসদরা।