নিউজ ডেস্ক যাত্রীদের সুবিধার্থে বেশ কয়েকদিন ধরে রাত ১১:০০ টা
পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু রেখেছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আগামী
সোমবার থেকে আর রাত এগারোটা পর্যন্ত মেট্রো পাওয়া যাবে না। ২৪ শে
জুন থেকে রাত ১১:০০ টার বদলে ১০:৪০-এ
ছাড়বে শেষ মেট্রো। ফলে রাতের দিকে যাতায়াতে মেট্রোর
সুবিধা থেকে বঞ্চির হতে পারেন বেশ যাত্রীরা।
সূত্রের খবর দমদম এবং
কবি সুভাষ এর মধ্যে রাত ১১:০০ টার ট্রেনে যাতায়াতকারী
যাত্রী সংখ্যা মাত্র ৩০০র কাছাকাছি ছিল। এদিকে ট্রেন চালানোর
খরচ হিসেবে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা এবং
অন্যান্য খরচ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। আবার অনেক স্টেশনের কাউন্টার খোলা রেখে হাতেগোনা কয়টি টোকেন বিক্রি হচ্ছে। রাতে যারা যাতায়াত করছেন তাঁরা
বেশিরভাগ মেট্রো কার্ড ব্যবহার করছেন। টোকেন বিক্রির হার
যথেষ্ট কম। ফলে কাউন্টারে খোলা রাখার যৌক্তিকতা নিয়েও
প্রশ্ন উঠছে।
এই প্রেক্ষিতে
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাতের পরিষেবায় কোনও স্টেশনে টোকেন, স্মার্ট কার্ড ইত্যাদি বিক্রির জন্য অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার খোলা থাকবে
না। যাত্রীরা ইউপিআই পেমেন্ট মোড ব্যবহার করে সমস্ত স্টেশনে
বসানো মেশিন থেকে টোকেন নিতে পারবেন। আর যাদের কাছে মেট্রোর কার্ড আছে তাঁরাও ব্যবহার করতে পারবেন।
তবে হঠাৎ কেন এই
সিদ্ধান্ত বদল? মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের মতে রাত ১১:০০টা পর্যন্ত মেট্রো চালিয়ে যত যাত্রী আশা করা হচ্ছিল,
আসলে তত যাত্রীর মেট্রোতে উঠছেন না।
ফাঁকা মেট্রো চালাতে হচ্ছে। ফলে ক্ষতি হচ্ছে মেট্রো
কর্তৃপক্ষের। রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন,“রাতে মেট্রো চললে প্রচুর মানুষ উপকৃত হবেন এবং তাঁদের চাহিদা পূরণ করা হবে এটা ভাবা হয়েছিল। এই
কারণেই রাতের পরিষেবা শুরু করা হয়েছিল। তবে দেখা যাচ্ছে রাতের এই পরীক্ষামূলক পরিষেবায় মেট্রোয় বেশি যাত্রী হচ্ছে না।
অন্যদিকে এই পরিষেবা চালু রাখার জন্য মেট্রোর প্রচুর খরচ হচ্ছে। তাই সোমবার থেকে রাতের মেট্রোর সময় কমিয়ে আনা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
প্রসঙ্গত ২৪ জুন থেকে
মেট্রো পরীক্ষামূলক এই পরিষেবা কবি সুভাষ থেকে এবং দমদম স্টেশন থেকে ১০:৪০ শেষ মেট্রো ছাড়বে। সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত
এই পরিষেবা পাওয়া যাবে এবং সমস্ত স্টেশনে মেট্রো ট্রেন থামবে। শহর কলকাতায়
যাত্রার ক্ষেত্রে যাত্রীরা মেট্রো খুবই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিষেবা মেলে খুব
অল্প দামে। অবশ্য করোনা অতিমারির আগে শেষ মেট্রো ছাড়ত রাত ০৯:৫৫ মিনিটে।