নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি নিটে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই দুর্নীতির অভিযোগ এবং ইউজিসি নেট (UGC NET Controversy) বাতিল করার প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। সেখানেই জাতীয় টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ-তে যে গলদ রয়েছে, তা মেনে নিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। জানালেন, ‘ভুল’ সংশোধন এবং উন্নত পরিষেবার জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে ধর্মেন্দ্র বলেন, ‘‘নিটে দুর্নীতি (UGC NET Controversy) প্রমাণিত হলে দোষীরা অবশ্যই শাস্তি পাবে। নেটের ক্ষেত্রেও বিষয়টি তাই। কাউকে কোনও অবস্থাতেই রেয়াত করা হবে না। আমি তার গ্যারান্টি দিচ্ছি। পরীক্ষা পদ্ধতির উপর বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব আমার।’’ এরপর নেট পরীক্ষার এক দিন পর তা বাতিল করে দেওয়া প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘পরীক্ষার পরের দিন বিকেল ৩টে নাগাদ আমরা জানতে পারি, ডার্ক নেটে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছিল পরীক্ষার আগেই। মূল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হয় এবং ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে তা মিলে যায়। এর পরেই আমরা পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলির উপর নজরদারি চালানো কঠিন। প্রশ্নফাঁসে সেই ধরনের অ্যাপই ব্যবহৃত হয়েছে। তবে স্বচ্ছতার সঙ্গে আমরা আপস করব না। একথা বলতে পারি, জোরালো প্রমাণ পেলে কোনও অপরাধীই নিষ্কৃতি পাবে না। পড়ুয়াদেরই ভবিষ্যতে আমাদের অগ্রাধিকার।’’
গত বুধবার নেট পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ সম্প্রতি নিটের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে বিহার থেকে। সেখানে এক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। জেরায় যিনি স্বীকার করেছেন, পরীক্ষার আগের দিন তিনি প্রশ্ন পেয়ে গিয়েছিলেন। তা মুখস্থ করে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। এই ঘটনায় সিবিআই এর তদন্ত করবে বলে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। তবে এরপর বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় এফআইআর করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি ইউজিসি-নেট (UGC-NET) পরীক্ষা নেয়। প্রায় ৯ লক্ষের উপর পরীক্ষার্থী তাতে অংশ নেয়। কিন্তু নিটের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে পরীক্ষার মাত্র একদিন পরই বুধবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।