নিউজ ডেস্ক: বিভাজনের রাজনীতি নয়, একমাত্র উন্নয়নই পারে উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে, এমনই অভিমত প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম বৃহস্পতিবার দুই দিনের সফরে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) গিয়েছেন মোদি। এদিন উপত্যকায় আনুষ্ঠানিক ভাবে ৮৪টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ওই প্রকল্পগুলির জন্য খরচ হবে আনুমানিক ১৫০০ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) সড়ক, জল সরবরাহ, উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নে বিপুল অর্থ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। বিশেষ ভাবে চেন্নানি-পাটনিটপ-নাশরির উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। একদিকে যেমন শিল্প তৈরিতে উৎসাহ দেওয়া হবে, পাশাপাশি ছয়টি সরকারি কলেজ গড়ে তোলা হবে। পরিকাঠামো উন্নয়নের সঙ্গেই যুব সমাজের পাশে থাকারও বার্তা দিতে চায় বিজেপি সরকার। উপত্যকায় কৃষি এবং সহযোগী ক্ষেত্রে ১৮০০ কোটি ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। যাতে উপকৃত হবেন জম্মু ও কাশ্মীরের ২০টি জেলার ৯০ ব্লকের ১৫ লক্ষ নাগরিক। এদিন শ্রীনগরের শের-এ-কাশ্মীর আন্তর্জাতিক সভাকক্ষে ‘যুব সমাজের ক্ষমতায়ন, জম্মু ও কাশ্মীরের পরিবর্তন’ শীর্ষক আলোচনাসভায় অংশ নেন মোদি (PM Modi)। এরপর ২০০০ জন যুবাকে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্রও বিলি করেন।
কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। নিজেদের জন্য এবার সরকার গঠন করবেন কাশ্মীরিরা এদিন এমনই দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই দিন বেশি দূরে নয় যেদিন উপত্যকা একটি রাজ্য হিসেবে তার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। আজ ভারতের সংবিধান সত্য়িকার অর্থে জম্মু ও কাশ্মীরে বাস্তবায়িত হয়েছে। এই সবই হচ্ছে ৩৭০ ধারার দেওয়াল যেটা সবাইকে বিভক্ত করেছিল সেটা পড়ে যাওয়ার জন্য। আমরা দেখছি এই নির্বাচনে কাশ্মীরবাসী গত ৩৫-৪০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে।’
এদিন মোদি (PM Modi) আরও বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরে এই পরিবর্তন আসছে কেন্দ্রীয় সরকারের ১০ বছরের প্রচেষ্টার ফলে। পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীরাও প্রথমবার তাদের ভোট দিয়েছেন। পঞ্চায়েত, পুরসভায় প্রথমবারের মতো ওবিসি সংরক্ষণ কার্যকর করা হয়েছে। এবার ভারতের একটি রাজ্য হিসেবে সম মর্যাদা পাবে কাশ্মীর।”