নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙার বোদাই গ্রাম পঞ্চায়েতের খুড়িগাছি গ্রামে তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় উভয়পক্ষের মোট চারজন আহত হয়েছেন। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যদের উপর অপর আরেক গোষ্ঠী হামলা করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রসঙ্গত শাসক দলের বিধায়ক নিজে এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের কথা মানতে নারাজ। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
আমডাঙার (North 24 Parganas) বোদাই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য রাকিবুল ইসলামের উপর আক্রমণ করে তৃণমূল নেতা তৈইব মস্তান। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে এলাকা রণক্ষেত্রের রূপ নিয়েছিল। দুই পক্ষের মধ্যে লাঠি, বোমা, বন্দুক নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছিল। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে আমডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অপর আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদেরকে স্থানান্তরিত করা হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে।
সংঘর্ষে আহত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিবেশী হিরামনি বিবি বলেছেন, “এলাকায় (North 24 Parganas) তৃণমূল নেতা তৈয়ব মস্তান নিজে কোনও কাজ করে না। কেবল তোলাবাজি করে খায়। দলের আড়ালে অসামাজিক কাজ-কর্ম করে। মহিলাদের কোনও সম্মান করেনা। ওর আতঙ্কে সকলে সন্ত্রস্ত। প্রতিবাদ করলে বাড়ি থেকে মা-বোনদের তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। হাটখোলার মুখে বাড়ি ওর, কেউ কিছু বলতে গেলে রাস্তায় ফেলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আজকে আমাদের ছেলেগুলিকে বেধড়ক মারধর করেছে। মারের আঘাতে গুরুতর জখম হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওদের কাছে পিস্তল, বোমা, বন্দুক থাকায় কেউ কিছু করতে সাহস পায়নি। পুলিশ ওদের কথা কাজ করে।”
যদিও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মানতে নারাজ আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকার রহমান। তিনি বলেন, “অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন পঞ্চায়েত (North 24 Parganas) সদস্য রাকিবুল। আগেও ওঁকে আঘাত করা হয়েছে। যে মেরেছে সে এলাকার সমাজ বিরোধী। তবে তার নাম জানি না। তৃণমূলের কোনও যোগ নেই এখানে।”