নিউজ ডেস্ক: নিট ২০২৪–এর কাউন্সিলিংয়ে কোন স্থগিতাদেশ দিল না দেশের
সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট সঙ্গে ন্যাশনাল টেস্টিং
এজেন্সিকে নোটিশ জারি করেছে যে অভিযোগ (NEET Row) সংক্রান্ত
যত নতুন আবেদন জমা পড়ছে সব কটি আবেদনের
সংযুক্ত করে একজায়গায় নিয়ে আসতে হবে।
কাউন্সিলিংয়ে কোন স্থগিতাদেশ নয়
জানাল সুপ্রিম কোর্ট (NEET Row)
নতুন আবেদনগুলির নিরিখে এনটিএর
প্রতিক্রিয়া জানতে চান বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং এসভিএন ভাট্টির
ডিভিশন বেঞ্চ। আবেদনকারীর তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল
কাউন্সিলিং যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়। কারণ নিট ২০২৪ এর কাউন্সিলিং শুরু হওয়ার কথা ৬ জুলাই। আর (NEET Row) মামলার শুনানি রয়েছে ৮ জুলাই। জবাবে বিচারপতি ভাট্টি বলেন কাউন্সিলিং একটি প্রক্রিয়া। সেটি ৬ তারিখ শুরু হবে। বেশ কয়েকদিন চলবে। আমরা চাই কারো সময় যেন নষ্ট না হয়।। এর আগেও কাউন্সিলিং–এর ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে
সুপ্রিম কোর্ট। তবে আদালতের আদালতের মৌখিক পর্যবেক্ষণ যে
আবেদনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তির ওপরেই শেষমেষ ভর্তির প্রক্রিয়া নির্ভর করবে।”
ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে
ছড়িয়ে দেওয়া হয় প্রশ্নপত্র
প্রসঙ্গত
তিনটি রিট পিটিশন বিচারাধীন রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং অনিয়মের (NEET Row) অভিযোগের তদন্তে সিবিআই চেয়ে মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। সেই আবেদনে জানানো হয়েছে গুজরাট পুলিশ এক শিক্ষকের
বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। যেখানে নিটের প্রশ্ন ও উত্তরপত্র দেওয়ার
পরিবর্তে ১০ লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। আরেকটি অভিযোগের তদন্ত চলছে বিহারের পাটনায়। যেখানে ছাত্রপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা প্রশ্ন এবং
উত্তরপত্র দেওয়ার বিনিময়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অন্য আরেকটি মামলায় কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে জানায়
যে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল তা বাতিল করে ১৫৬৩ জন প্রার্থীকে ফের পরীক্ষার
সুযোগ দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত নিট দুর্নীতিতে
চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি এসেছে এই মামলার অন্যতম মূল
অভিযুক্ত আনন্দের কাছ থেকে। জানা গিয়েছে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পরীক্ষার্থী পিছু
নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সিকান্দার যাদবকে ও গ্রেফতার করা
হয়েছে। অমিত আনন্দের ফ্ল্যাট থেকে নিটের প্রশ্ন এবং
উত্তরপত্র পোড়া অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। অমিতের
স্বীকারোক্তি মেডিক্যালের অভিন্ন প্রবেশিকা
পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল একদিন আগেই। আরও জানা গেছে
ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে সারা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রশ্নপত্র
ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।