নিউজ ডেস্ক: ইউরো কাপের এই
ম্যাচ জবরদস্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই ম্যাচ হল প্রায় একপেশে। ইটালিকে ১-০ গোলে হারাল স্পেন। একমাত্র গোলটিও হয়েছে আত্মঘাতী।
কিন্তু স্কোরলাইন দেখে কোনও ভাবেই এই ম্যাচের নির্যাস বোঝা সম্ভব নয়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্পেন দাঁড়াতেইদেয়
নি ইটালিকে। বল নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে শট, সবেতেই
প্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে ছিল তাঁরা।
রিকার্ড কালাফিয়োরির আত্মঘাতী গোল ম্যাচের ভাগ্য লেখা হয়ে যায়।
ইতালির লজ্জাজনক হার
এর আগের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে প্রথমার্ধে তিন গোল দিয়েছিল স্পেন। এ দিন ইটালির গোলের নীচে জিয়ানলুইগি ডোনারুম্মা না থাকলে লজ্জা
বাঁচাতে পারত না চার বারের বিশ্বজয়ীরা। অন্তত ছ’টি নিশ্চিত গোল বাঁচালেন
ডোনারুম্মা। না হলে স্পেনের বিরুদ্ধে বড় লজ্জার সামনে পড়তে হত ইটালিকে। গোটা
ম্যাচে ইটালির খেলা দেখে মনেই হয় নি যে তারা চার বারের
বিশ্বজয়ী। স্পেনের তরুণ খেলোয়াড়দের সামনেও নাকানি-চোবানি খেতে দেখা গেল ইটালির
অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের।
ডেনমার্কে
আটকে দিল ইংল্যান্ডকে
অন্যদিকে এগিয়ে গিয়েও ডেনমার্কের কাছে আটকে গেল ইংল্যান্ড। জিতলেই ইউরো কাপের শেষ ১৬ নিশ্চিত হত তাঁদের।
কিন্তু রক্ষণের ভুলে শেষ পর্যন্ত দুর্বল প্রতিপক্ষ ডেনমার্কের সঙ্গে
ড্র করতে হল।হ্যারি কেনের গোলে
এগিয়েও গিয়েছিল ইংল্যান্ড। ডেনমার্কের বিরুদ্ধে এগিয়েও
শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র করতে হল। ১৮
মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড প্রতিপক্ষের ফুটবলের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে
ডান প্রান্ত ধরে ডিফেন্ডারদের পরাস্ত করে বক্সে ঢোকেন কেইল ওয়াকার। সেই সময়
অরক্ষিত দাঁড়িয়ে ছিলেন কে এর কাছে পৌঁছে যায় শেষ পর্যন্ত বল বাঁ পায়ে জোরালো
সাথে গোল করেন ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার। চলতি ইউরোয় প্রথম
গোল করেন তিনি। গোল খাওয়ার পর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে ডেনমার্ক। তাঁরা অনেক
বেশি পাস খেলা শুরু করেন। ফলে ইংল্যান্ডের রক্ষণভাগে চাপ
বেড়ে যায়। এর সুফল পায় তাঁরা। ৩৪ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ডের ভুলে মার্টিন হুলমন্ডের পায়ে বল এসে
যায়। ডিফেন্সে সেই সময় প্রচুর খেলোয়াড় থাকায় বল দেখতে খানিক দেরি হয়ে যায়
জর্ডন পিকফোর্ডের। ফলে ঝাঁপ দিয়েও বলের কাছে পৌঁছাতে
পারেননি তিনি পোস্টে বল লেগে ঢুকে যায় গলে সমতা ফেরায় ডেনমার্ক। এক এক গোলেই
বিরতিতে যায় দুই দল ২০১৬ এর পর ইউরো গ্রুপ পর্বে এই প্রথম কোন গোল খেল ইংল্যান্ড।
শেষ ১৬ যাওয়ার পথ খোলা ডেনমার্কের
সার্বিয়ার বিরুদ্ধে জিতলেও মাঠের দাপট দেখাতে
পারেনি ইংল্যান্ড। বেশ কয়েকবার তাদের গোলের সামনে বিপদ
দেখা যায় ডেনমার্কের বিরুদ্ধেও ইংল্যান্ডের রক্ষণভাগ সেভাবে ম্যাজিক দেখাতে
পারেনি। একাধিকবার দেখা গিয়েছে তাঁদের
রক্ষণ ফাঁকা ছিল। শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ফুটবল খেলছিল
ডেনমার্ক। মাঝে লড়াই চলছিল সমানে
সমানে। দুই দলই বলের দখল রাখার চেষ্টা
করে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার এগিয়ে যাওয়ার জায়গায় চলে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। ৫৬ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে ফিল ফডেনের বাঁ
পায়ের শট পোস্টে লেগে ফিরে যায়।
ইংল্যান্ডের সব আক্রমণ হচ্ছিল বাঁ দিক থেকে। ডান দিক থেকে
আক্রমণ না হওয়ায় ডেনমার্কের রক্ষণে অনেক সুবিধা হয়। তবে তাঁর মধ্যে বেশ কয়েকবার বুকোয়া সাকা বল নিয়ে বক্সে
ঢুকে পড়েন। কিন্তু ভাগ্য সহায় না হওয়ায় এবং ডেনমার্কের করা ডিফেন্সের ফলে
গোলের মুখ খুলতে পারেননি তিনি অন্যদিকে জুট বেলিংহাম আগের ম্যাচে গোল করলেও এই
ম্যাচের দেখাই গেল না তাকে ফলে সমস্যায় পড়ে ইংল্যান্ড।
গোল হচ্ছে না দেখে ৬৯ মিনিটের মাথায় কেন ফেডেন
এবং সাকাকে একসঙ্গে তুলে নেন তিনি পরিবর্তে তরতাজা ফুটবলার নামান কিন্তু তাতেও ভাগ্য
বদলাইনি। গোল তো হয়নি, উল্টে ৮০ মিনিটের পর অন্তত দুবার গোল
করার মতন পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছিল ডেনমার্ক। কিন্তু
সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করায় তাঁরা গোল করতে পারেনি।