নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে। দুই দেশ সবসময়েই একে অপরের পাশে আছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই মত প্রকাশ করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। দু’দিনের সফরে শুক্রবারই ভারতে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই দু’দিন দিল্লিতে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। শুক্রবার ভারতে এসেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে একান্ত বৈঠক সারেন হাসিনা।
হাসিনার (Sheikh Hasina) ভারত সফর প্রসঙ্গে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) লেখেন, ‘‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে খুবই আনন্দিত। তাঁর এই সফর আমাদের দু’দেশের স্থায়ী এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে জোরদার করবে।’’ শুক্রবার হাসিনাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং। এই সফর দু’দেশের সম্পর্ককে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
শনিবার দুপুরে শীর্ষ প্রতিনিধি পর্যায়ে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন হাসিনা (Sheikh Hasina)। সই হওয়ার কথা ১০টিরও বেশি চুক্তিপত্রে। এর মধ্যে অন্তত ৪টির মেয়াদ শেষে পুনর্নবীকরণ হওয়ার কথা রয়েছে। উঠতে পারে তিস্তার জল বণ্টনের বিষয়ও। বিদেশ মন্ত্রকে সূত্রে জানানো হচ্ছে, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় নতুন মোড় তৈরি করা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানো, সংযোগ ব্যবস্থা ও দ্বিপাক্ষিক পরিকাঠামোর উন্নতি, মংলা বন্দর পরিচালনার মতো বিষয়গুলি গুরুত্ব পাবে মোদি-হাসিনা বৈঠকে। তিস্তার পাশাপাশি এবারের আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে গঙ্গা জলচুক্তি। ২০২৬-এ যেটির মেয়াদ শেষ হবে। সেই চুক্তির নবীকরণ ঢাকার অগ্রাধিকারের তালিকায় আছে। এছাড়া বৈঠকে গুরুত্ব পাবে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা। ভারতের বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সমঝোতা স্মারক সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।