নিউজ ডেস্ক: ব্যাগে করে বন্দুক এনে স্কুল টয়লেটে বন্ধুদের দেখাচ্ছিল ক্লাস টেনের এক ছাত্র। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানার অন্তর্গত আন্দুলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে গিয়ে দশম শ্রেণির দুই ছাত্র অন্যান্য বন্ধুদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখাচ্ছিল। তা নিয়ে বেশ উৎসাহিতও ছিল কয়েকজন। কিন্তু বাকিদের কাছে বিষয়টি ছিল আতঙ্কের। ফলে কথাটি বেশিক্ষণ চেপে থাকেনি। কিছুক্ষনের মধ্যেই প্রধান শিক্ষকের কানে পৌঁছে যায় কথাটি। তারপরই সেই আগ্নেয়াস্ত্র শিক্ষকরা কার্যত কেড়ে নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, জানা গিয়েছে, আজ সকালে গিয়ে দশম শ্রেণির দুই ছাত্র আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তা অন্যান্য বন্ধুদের দেখাচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই খবর শিক্ষকদের কানে আসে। এমনকী, স্কুলের গেটম্যানকে মারার অভিযোগ উঠেছে ওই দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে। ঘটনায় খবর দেওয়া হয় রেজিনগর থানার পুলিশের কাছে। দু’জনকে আটক করে নিয়ে যায়। তবে নাবালকদের কাছে কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এল তা জানতে চাইছে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “প্রার্থনা হওয়ার পর একটা ছেলে এসে আমাদের বলল স্যর একটা ছেলের কাছে পিস্তল আছে। ও বন্ধুদের দেখাচ্ছে। কোন ক্লাসে পড়ে জিজ্ঞাসা করলাম। এরপর বাথরুমে গিয়ে তল্লাশি করলাম পেলাম না। তারপর সাত আটজন শিক্ষক মিলে নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের চেক করছিলাম। তারপরই পিস্তল উদ্ধার হয়।” স্কুলের গেটম্যান জাহাঙ্গীর মোল্লা জানান, “ওদের সঙ্গে পরশুদিন আমার ঝামেলা হয়। আমি ওদের ধরতেই আমায় মারধর করে। সেই সময় ওরা বলছিল আজই গেটম্যানকে শুট করে বাড়ি যাব।”
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দুই ছাত্রের মধ্যে একজন আন্দুলবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইপো। অভিযুক্ত ছাত্র বলে, “আমি রাস্তার পাশ থেকে পেয়েছিলাম। বন্ধুদের দেখাচ্ছিলাম। বুঝতেই পারিনি। গেটম্যানকে মারতেই চাইনি।”