নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) আবারও চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির৷ রেশন দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু বর্তমানে জেলে। এই আবহে এবার আদালতে রেশন-মামলায় ১০ হাজার কোটির দুর্নীতির কথা জানাল ইডি। এর মধ্যে ১ হাজার কোটির মালিকানাও জেনে গিয়েছে তাঁরা। তবে রেশন দুর্নীতির বাকি ৯ হাজার কোটি টাকার উৎস কী এবার সেদিকেই নজর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বাকি এই ৯ হাজার কোটির দুর্নীতি (Ration Scam) করেছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে থাকা আরও একাধিক রাইস ও আটা মিল এবং এই সমস্ত রাইস মিল ও আটা মিলগুলির মালিকদের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তবে এই সকল প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের নাম পরিচয় এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে আনেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এই সকল প্রভাবশালী আটা এবং রাইস মিলের মালিকদের সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি ৷ মূলত তদন্তকারী আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করবেন যে, ওই সকল রাইস মিল এবং আটা মিলের মালিকরা তাঁদের টাকা কোথায় পাঠাতেন? কার কার কাছে যেত সেই টাকা৷
শুক্রবার বিশেষ ইডি আদালতে রেশন মামলায় (Ration Scam) ধৃত বাকিবুর রহমান, তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যদের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। সেখানেই ১০ হাজার কোটির দুর্নীতির কথা ফাঁস করে ইডি (ED)। প্রসঙ্গত, এর আগে এই বাকিবুরকে জেরার সময়ই উঠে এসেছিল বালুর নাম। এরপর তাঁর গ্রেফতারি হয়। তবে এবার ইডির এই তদন্তে আবারও নতুন কোনও মোড়ের দেখা মিলবে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।