নিউজ ডেস্ক: দুই দিনের ভারত সফর শেষে বাংলাদেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) । দেশে ফেরার আগে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ মৌ চুক্তি সঙ্গে নিয়ে ফিরেছেন তিনি।
এর মধ্যে ৭টি নতুন মৌ চুক্তি রয়েছে। এবং ৩টি চুক্তি পুনর্নবীকরণ হয়েছে। দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে নানা বিষয়ে ফলপ্রসূআলাপ আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশীদের
জন্য চালু ‘ই মেডিক্যাল ভিসা’
যে কটি মৌ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে বাংলাদেশি
নাগরিকদের জন্য ই–মেডিক্যাল ভিসা (E
Medical Visa) চালুর সিদ্ধান্ত। এছাড়াও
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সুবিধার জন্য রংপুরে একটি নতুন হাইকমিশন
খোলার কথা ও ঘোষণা করা হয়েছে। দু‘দেশের
রাষ্ট্রনেতা এবং প্রতিনিধিদের এই বৈঠকে চূড়ান্ত হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ
চুক্তি। এর মধ্যে ভারতের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয়
সমুদ্র অঞ্চলে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চুক্তি। প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) এ বিষয়ে শেখ হাসিনাকে (Sheikh
Hasina) ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন এই সমুদ্র সহযোগিতার মাধ্যমে নীল
অর্থনীতির পথে একসঙ্গে চলবে দুই দেশ।
গুরুত্বপূর্ণ
চুক্তি সম্পাদন করলেন হাসিনা (Sheikh Hasina)
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বৈঠক
শেষে বলেন,“আজ আমাদের দুই পক্ষের
মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। আমরা রাজনীতি, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, যোগাযোগ, জল বন্ধন, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি ও আঞ্চলিক সহযোগিতা
সহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করেছি। উভয় দেশ
শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে দিকনির্দেশনা দিতে ভিশন
স্টেটমেন্টকে সমর্থন করেছে। ভারত ও বাংলাদেশ ডিজিটাল
পার্টনারশিপ ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারিত্বের জন্য একটি অভিন্ন
দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে সম্মত হয়েছে।”
দুই
দেশের সহযোগিতার প্রশংসা করলেন মোদি
প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) দায়িত্ব নেবার পর এটি
প্রথম কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের ভারত সফর। বাংলাদেশেও এ বছরের
শুরুর দিকে ভোট ছিল। সেখানে ফের
ক্ষমতায় এসেছে হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লিগ। একদিকে প্রধানমন্ত্রী ২০৪৭ এর বিকসিত ভারতের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন।
অন্যদিকে হাসিনাও (Sheikh Hasina) রূপকল্প ২০৪১কে পাখির চোখ
করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক
শেষ বলেন,“বাংলাদেশ
আমাদের নেবারহুড ফার্স্ট পলিসি,অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি, ভিশন সাগর এবং ইন্দো পেসিফিকের সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। গত এক বছরে আমরা একসঙ্গে অনেক
জনকল্যাণমূলক প্রকল্প সম্পাদন করেছি। ভারতীয় রুপিতে বাণিজ্য
শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে গঙ্গা নদীতে দীর্ঘতম
রিভার ক্রুজ নৌ চলাচল শুরু হয়েছে।
আখাউড়া আগরতলা রেল লিঙ্ক শুরু হয়েছে। খুলনা–মংলা পোর্টের মাধ্যমে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির জন্য কার্গো পরিষেবা শুরু
হয়েছে। মংলা বন্দরকে রেলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ১৩২০
মেগাওয়াটের দুটিমৈত্রী থার্মাল
প্লান্ট দুটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কাজ শুরু হয়েছে করেছে। দুই
দেশের মধ্যে পাইপ্লাইনের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া নেপাল থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশের মধ্যে
বিদ্যুতের গ্রিডের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতগুলি কাজ একসঙ্গে করা
আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের বাঁধনকে মজবুত করেছে এবং দুই দেশের কর্ম ক্ষমতার যোগ্য
নিদর্শন রেখেছে।”