নিউজ
ডেস্ক: নিট এবং নেট পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক চরমে। উঠছে জালিয়াতির অভিযোগ এবং প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ। কেন্দ্রীয় শিক্ষা দপ্তরের বিরুদ্ধে উঠছে নানান অভিযোগ আনছে বিরোধীরা।
এমতাবস্থায় উত্তরপ্রদেশে সরকার একটি নতুন আইন আনতে চলেছে। পরীক্ষার আগে প্রশ্ন ফাঁস রুখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা
গিয়েছে যোগী সরকারের তরফে।
জানা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার প্রশ্ন ফাঁস রুখতে এমন একটি কড়া আইন আনতে চলেছে যেখানে থাকছে কঠিন শাস্তির বিধান। থাকবে মোটা অংকের জরিমানা থেকে জেলের
ব্যবস্থা। এমনকি বুলডোজার দিয়ে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার বিধানও
থাকতে পারে। সূত্রের খবর ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি নেট এবং
নিট পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করতেই উত্তরপ্রদেশ সরকার এ বিষয়ে কঠোর আইন আনতে তৎপর হয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আলাদা প্রিন্টার থেকে ছাপানো হবে দুটি সেটে
প্রশ্নপত্র। এমনকি উত্তর পত্রে কোডিং–এর
ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। পরীক্ষার কেন্দ্র হবে
একমাত্র সরকারি স্কুল ডিগ্রী কলেজ,
বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, কিংবা মেডিকেল কলেজ। তাও আবার যে সমস্ত শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের রেকর্ড ভালো সেগুলিকে সেন্টার হিসেবে বেছে
নেওয়া হবে। প্রত্যেকটি সেন্টারে সিসিটিভি থাকবে। চারটি ভিন্ন এজেন্সি নিয়োগ করা হবে যারা পরীক্ষার
যাবতীয় দায়িত্বে থাকবে।বাড়ির কাছে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা
বন্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। পরীক্ষা কেন্দ্র হোম ডিভিশনের বাইরে থাকবে। তবে
বিশেষভাবে সক্ষম ও মহিলাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু এই নিয়মের
ফাঁক গলে কেউ যাতে টুকলি না করে তার জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা কড়া রাখা হবে।
যদি কোন ক্ষেত্রে ৪ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী হয়, তাহলে দুই ভাগে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে করা হবে। রেজাল্টে
যাতে কোন অনিয়ম না থাকে, তার জন্য কমিশন ও বোর্ড ও এমআর শিট
স্ক্যান করার দায়িত্বে থাকবে। প্রশ্নপত্রে থাকবে সিক্রেট
কোড। পাশাপাশি ইউনিক বারকোড, কিউআর কোড
এবং সিরিয়াল নাম্বারও থাকবে । প্রশ্নপত্র ট্যাম্পার প্রুফ, মাল্টিলেয়ার প্যাকেজিং করে বহন করে
নিয়ে যাওয়া হবে। এছাড়াও পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন স্মার্টফোন
কিংবা ক্যামেরা নিয়ে ঢোকা যাবে না। প্রিন্টিং প্রেসেও স্মার্টফোন এবং ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ নিষেধ থাকবে। প্রেস চত্বরে
সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো থাকবে। এবং সেই রেকর্ডিং এক বছরের
জন্য সংরক্ষণ করে রাখা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।