নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা রাজ্যসভায় বিজেপির
দলনেতা নির্বাচিত হলেন। এর আগে এই পদে ছিলেন বিজেপি (BJP) নেতা
পিযুষ গোয়েল। তিনি এবার মুম্বাইয়ের একটি আসন থেকে জয়ী হয়ে
লোকসভায় পৌঁছেছেন। এমতাবস্থায় রাজ্যসভায়
বিজেপির প্রবীণ নেতা জে পি নাড্ডাকেই (J P Nadda) বিজেপি এই
গুরু দায়িত্ব দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্রুতই তিনি দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তেফার দিয়ে দিতে পারেন। ফলে তাঁর উত্তরাধিকারী কে হবেন তা নিয়ে এখন জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
মন্ত্রীর পর রাজ্যসভার দলনেতা
(J P Nadda)
মনে করা হচ্ছে খুব
দ্রুতই বিজেপি দল সর্বভারতীয় সভাপতি ঘোষণা করতে পারে। যেহেতু বিজেপিতে এক ব্যক্তি এক পদের নীতি রয়েছে, সে কারণে সর্বভারতীয় সভাপতি এর দায়িত্বে অন্য কেউ আসবেন তা সময়ের
অপেক্ষা। বিকল্প হিসেবে সুনীল বনসল, বিনোদ
তাওড়ে, অনুরাগ ঠাকুর, রাজনাথ সিং সহ
বেশ কয়েকজনের নাম চর্চায় রয়েছে। চলতি বছরেই হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র সমেত পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগেই সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে। তবে এমনও হতে পারে কিছুদিনের জন্য কেউ ভারপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় সভাপতি
হলেন। পরবর্তীতে তাঁকে সম্পূর্ণ মেয়াদ
ও নতুন কমিটির অধিকার দেওয়া হল।
কে হবেন পরবর্তী সভাপতি (BJP)
জে পি নাড্ডা সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়ার আগে অমিত শাহ এই দায়িত্বে ছিলেন। নাড্ডা (J P Nadda) ২০২০ সালে সর্বভারতীয় সভাপতি পদে আসীন হন। বিগত
কয়েক বছরে নাড্ডার গুরুত্ব দলে বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের ভরসা
রয়েছে তাঁর সঙ্গে। ফলে (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি মন্ত্রী হলেন এবং এবং
একইসঙ্গে রাজ্যসভার দলনেতা। দলের অন্দরে নাড্ডার মর্যাদা ধরে
রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে বিজেপি শিবিরের একাংশের মতে সঙ্ঘ শিবির চাইছে শিবরাজ সিং চৌহান, বা রাজনাথ সিংকে পার্টির
দায়িত্ব দেওয়া হোক। যদিও মোদি ও অমিত শাহ শিবির অন্য কাউকে
এই পদে দেখতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে।