নিউজ ডেস্ক: অভিজ্ঞতার অভাব, বড় ম্যাচে নার্ভ ফেল, ব্যাটিং দুর্বলতা, টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার ভুল সিদ্ধান্ত কারণ যাই হোক এবারের মতো স্বপ্নের দৌড় শেষ আফগানিস্তানের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণের সামনে খড়-কুটোর মতো উড়ে গেল আফগানিস্তান। নিউ জিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশের মতো টেস্ট খেলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়েছিলেন গুরবাজরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হার মানতে হল রশিদ খানদের। একপেশে সেমিফাইনালে ৯ উইকেটে জিতে কাপের কাছাকাছি পৌঁছে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa vs Afghanistan)।
বৃহস্পতিবার সকালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান। টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রশিদ। অনেকে মনে করছেন, সেটাই বোধ হয় ভুল হল। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারেরা স্পিনারদের বিরুদ্ধে খুব স্বচ্ছন্দ নন। আফগানিস্তান প্রথমে বল করে অল্প রানে প্রোটিয়াদের আটকে দিলে, নিজেদের সামনে একটা রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামতে পারতেন। কিন্তু রশিদের পরিকল্পনা ছিল অন্য। তিনি দলের বোলিংকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন পরে। রশিদ জানেন তাঁর দলের শক্তি বোলিং। তাই পরে বল করলে ম্যাচ জেতার সুযোগ পবেশি থাকবে বলে মনে করেছিলেন তিনি। কিন্তু দলের ব্যাটিং বিপর্যয় যে এভাবে হবে তা ভাবতে পারেনি আফগান অধিনায়ক।
এদিন শুরু থেকেই প্রোটিয়া পেসারদের সুইংয়ের দাপট সামলাতে পারলেন না রহমানুল্লা গুরবাজেরা। চার রানে প্রথম উইকেট পড়ে। গুরবাজ এদিন তিন বল খেলে শূন্য রানে আউট হন। অপর ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান মাত্র দুই রান করে ফেরেন। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের নায়ক গুলবদিন করেন ৯ রান। আজমাতুল্লা ওমরজাই ১০ রান করে ফেরেন। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে একটি দল যদি ৫ উইকেট হারায় তা হলে ম্যাচে ফেরা কঠিন হয়। নির্ধারিত ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারেননি আফগানি ব্যাটাররা। মাত্র ১১.৫ ওভারেই গুটিয়ে যায় তারা। করে ৫৬ রান। বল হাতে তিনটে করে উইকেট নেন মার্কো জেনসন, তাবরেজ শামসি। দুটো করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাডা ও অনরিখ নকিয়া। স্লোয়ার ও পিচের স্পিন নিয়ে বাজিমাত করে প্রোটিয়ারা।
আফগানিস্তানের ইনিংস ১০০ পেরোলেও লড়াই করার জায়গায় থাকতে পারতেন রশিদরা। কিন্তু এত কম রানে আটকে যাওয়ার পর আর কিছু করার ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa vs Afghanistan) জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা। রান তাড়া করতে নেমে তাদের খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি। ওপেনার কুইন্টন ডি কক ব্যর্থ হন। তিনি মাত্র পাঁচ রান করে ফেরেন। ফজলহক ফারুকির বলে তিনি বোল্ড হন। ৫৭ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৮.৫ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।