নিউজ ডেস্ক: কোনও রকম বিশেষ সুবিধা ছাড়াও যে বলিউডে বড় তারকা হওয়া যায় তা প্রমাণ করে দেখিয়েছিলেন বাংলার ছেলে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। কলকাতা থেকে গিয়ে এক অচেনা অজানা শহরে সহায় সম্বলহীন ভাবে দিনের পর দিন পরিশ্রম করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। বলিউডে পা রাখার পর, প্রথমদিকে নাকি টেম্পো-তে চড়েও যাতায়াত করতে হয়েছিল মিঠুনকে। গায়ের রং কালো বলে শুনতে হয়েছিল কটুক্তিও। আবার সেই বলিউডেই এক সময় অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) সঙ্গে তুলনা করা হত তাঁর।
সালটা ছিল ১৯৭৬, সেবছরই পরিচালক মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’ ছবির হাত ধরে অভিনয় জীবনে পা রেখেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। প্রথম ছবিতে অভিনয়ের পরই সেরা অভিনেতা হিসাবে জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন মিঠুন। পরবর্তী সময়ে মুম্বইতে গিয়ে তারকা হয়ে ওঠেন মিঠুন চক্রবর্তী। ১৯৭৯ সালে রাজশ্রী প্রোডাকশনের ‘তারনা’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পথ চলা শুরু হয়েছিল তাঁর। তারপর ১৯৮২ সালে ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ ছবিতে অভিনয়ের পর তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিলেন।
বলিউডে তাঁর কোনও চেনা পরিচিতি ছিল না। এমনকি গায়ের রং কালো বলে পরিচালকরাও অপমান করতেন তাঁকে। তবুও তথাকথিত কোনো গডফাদার ছাড়াই নিজের পরিশ্রম এবং প্রতিভার জোরে নিজের ভবিষ্যৎ নিজে লিখেছেন বাগবাজারের ছেলে। আশির দশকের সুপারস্টারদের মধ্যে একজন ছিলেন ‘ডিস্কো কিং’। বিগ বি-র ঔজ্জ্বল্যের সামনে যখন ফিকে পড়ে যাচ্ছিলেন অন্য অভিনেতারা। তখন ব্যতিক্রম ছিলেন মিঠুন। অমিতাভের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সিনেমায় অভিনয় করছিলেন তিনি। সে সময়েই তিনি তকমা পান ‘গরিবের অমিতাভ বচ্চন’ (Gareebon ka Amitabh)।
এক সাক্ষাৎকারে অমিতাভকে ‘শতাব্দীর সেরা তারকা’ আখ্যা দিয়ে মিঠুন (Mithun Chakraborty) বলেছিলেন, “সে সময়ে বচ্চন সাব সব বড় ব্যানারের সিনেমা করতেন। আর আমার কাছে কোনও ব্যানারই ছিল না। কিন্তু আমার ছবির ব্যবসাও প্রায় ওঁর কাছাকাছিই যেত। মানুষ বলত, এ-ও অমিতাভ বচ্চন, কিন্তু গরিবের’’। লোকের ঠাট্টায় খুশিই হয়েছিলেন মিঠুন। অভিনেতার কথায়, এটা তাঁর কাছে সবথেকে বড় প্রশংসা ছিল।