নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারের (Cooch Behar) সংখ্যালঘু মহিলা বিজেপি কর্মীর উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে বিধানসভার
চত্বরে ধরনায় বসতে চায় বিজেপির (BJP) পরিষদীয় দল। এ নিয়ে
বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠালেন বিধানসভার বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ। ধরনায় বসার জন্য অধ্যক্ষের অনুমতি
চেয়ে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বিজেপির তরফে। যদিও এই চিঠি সম্পর্কে কোন
প্রতিক্রিয়া দেননি অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিন কমিশনের কাছে টিম পাঠানোর
আর্জি (Cooch Behar)
কোচবিহারে সংখ্যালঘু মহিলা
বিজেপি কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগে উত্তাল হয়েছে রাজ্য
রাজনীতি। সেই বিতর্কের আঁচ এসে পড়ল বিধানসভাতেও। এ বিষয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা
শুভেন্দু অধিকারী জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার
কমিশন ও জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছেন। কোচবিহারের (Cooch
Behar) ঘটনায় ওই তিন কমিশনের কাছে বাংলায় টিম পাঠানোর আবেদন
জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার বিধানসভায় বিজেপির ধরনা
(BJP)
কোচবিহারের ঘটনা
ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বিজেপি (BJP) নেতা অমিত মালব্যর টুইট থেকে বিষয়টি নজরে আসে জাতীয় মহিলা কমিশনেরও।
মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন রেখা শর্মা এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন। এ বিষয়ে
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন,“বাংলার মেয়েকে ভোট দিন বলে মুখ্যমন্ত্রী ২১-এ
ক্ষমতায় এসেছিলেন।তাঁর আমলে মহিলারা
সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত। তিনি নিজেকে সংখ্যালঘুদের দরদী বলে প্রতিষ্ঠিত করতে
চাইছেন। অথচ সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হচ্ছে সংখ্যালঘুরা।
তৃণমূল না করলে সংখ্যালঘুদের রেহাই মিলছে না। রামপুরহাটের বগটুইতে মুসলিম মহিলাদের পুড়িয়ে
মারা হয়েছিল। ২০২১ শে ৯১% এবং ২০২৪ এ তৃণমূলকে
৯৫% ভোট দিয়েছে মুসলিমরা। অথচ তাঁরাই তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত। সুকুমার রায়ের ফোনে (Cooch Behar) আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। আমরা আক্রান্ত পরিবারের
সঙ্গে আছি। তাঁদের সব রকম ভাবে সহযোগিতা করা হবে। বিজেপির
মহিলা বিধায়করা সোমবার থেকে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে এই অত্যাচারের বিরোধিতায়
ধরনায় বসবে।”