নিউজ ডেস্ক: বিরাটের জীবনে অনুষ্কার প্রবেশের পর এমন সাফল্য প্রথম বার। এতদিন প্রচুর সমালোচনা সইতে হয়েছে বিরাট কোহলিকে। পিতৃত্বকালীন ছুটি কেন নেবেন? এই সিরিজ কেন খেলবেন না? বিরাট কেন বিশ্রামে! মাঠে কেন অনুষ্কা? গ্যালারিতে অনুষ্কা ছিল বলেই…। দিনের পর দিন এমন কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে। পেশাদার জীবনের বাইরে প্রত্যেকেরই যে একটা ‘জীবন’ থাকে, সেটাই যেন ভুলে যান অনেকে। দিনের শেষে একটা আশ্রয় দরকার। বিরাটের কাছে অনুষ্কা তেমনই। একই ভাবে অনুষ্কার কাছে বিরাট।
দুটো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল, ২০১৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল, গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ফাইনাল। ক্যাপ্টেন বিরাট কিংবা ক্রিকেটার বিরাটের সাফল্য ঢাকা পড়ে যাচ্ছিল সাময়িক ব্যর্থতায়। ২০১৩ সালের পর অবশেষে আইসিসি ট্রফি জয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড বিরাট কোহলির। অথচ এ বারের টুর্নামেন্টে শুরু থেকে কিছুতেই তাল-ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। কোচ-ক্যাপ্টেন, সতীর্থরা ভরসা রেখেছিলেন। বলেছিলেন, সেরাটা ফাইনালের জন্য তুলে রাখা। বিরাট কোহলি সেটাই করে দেখিয়েছেন। ফাইনালের মঞ্চে বিরাট ইনিংস। বোলারদের দাপট। দ্বিতীয় বার টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বসেরা ভারত। এই ফরম্যাটে প্রথম বার ট্রফির স্বাদ পেয়েছেন বিরাট কোহলি। ফাইনালে জিতেছেন সেরার পুরস্কার। এরপরই বিরাট ঘোষণা করেন, তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্ব দিয়ে এ বার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।
ট্রফি জয়ের আনন্দাশ্রু, একটা ফরম্যাটে জাতীয় দলের জার্সিকে বিদায় দেওয়া। মিশ্র অনুভূতিতে ভাসলেন বিরাট কোহলি। এমন সময় আশ্রয় দরকার। অনুষ্কা শর্মা হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দূর থেকেই। ভিডিয়ো কলে কথা হয়েছে। ইনস্টাগ্রামে বিরাট কোহলি এবং টিমের জন্য গর্বিত অনুষ্কা পোস্টও করেছেন। বিরাটকে বিশেষ পরামর্শও দিয়েছেন তাতে। পোস্টে বিরাটকে মেনশন করে লিখেছেন, ‘মানুষটাকে বড্ড ভালোবাসি। তোমাকে আমার আশ্রয় বলতে গর্ব হয়।’ অনুষ্কাও হয়তো একইরকম আবেগেতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন। তাই মজার ছলে যোগ করেন, ‘এবার যাও, আমার হয়ে সেলিব্রেট করার জন্য এক গ্লাস রঙচঙে জল খাও।’