নিউজ ডেস্ক: চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে (Mob Lynching) ঝাড়গ্রামের যুবককে মারধরের ঘটনায় শুরু ধরপাকড়। এই ঘটনায় দু-জনকে গ্রেফতার করে জামবনি থানার পুলিশ। ধৃতেরা হল মহেন্দ্র মিত্তাল এবং ডাক্তার সোরেন। মহেন্দ্র মিত্তাল ঝাড়গ্রামের বাছুড়ডোবার বাসিন্দা। বছর আটচল্লিশের ওই ব্যক্তি রাস্তা তৈরির কাজে ম্যানেজার পদে রয়েছেন। অপর ধৃত পঁয়ত্রিশ বছর বয়সি ডাক্তার সোরেন ঝাড়গ্রামের জমাদারডাঙার বাসিন্দা। তিনি সাইট ম্যানেজার। ধৃতদের সোমবার ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তদের সোমবার ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে ৭দিনের পুলিশ হেপাজত এর নির্দেশ দেন ঝাড়গ্রাম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক। তাঁদের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪১/৩৩৫/৩০৭/৩৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ গনপিটুনির ঘটনায় অভিযুক্তদের উদ্দেশ্য ছিল এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করা এমনই অভিযোগ মৃত সৌরভ সাউ-এর মা প্রতিমা সাউ, এবং তাঁর আত্মীয় অপর্ণা দত্তর। শুধুমাত্র চুরি? না এর পেছনে আসলে এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ তৈরী করে বেআইনি ভাবে জমি ও খনিজ সম্পদ বিক্রির জন্য অশান্তির পরিবেশ তৈরি করার জন্য এই মারধর এবং খুন কিনা সেটাই এই মুহুর্তে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। কারন গনপিটুনির ঘটনায় অভিযুক্ত মহেন্দ্র মিত্তাল জানায় তাদের কোনও জিনিস চুরি যায়নি। তাঁদের মেশিন ও ঠিক চলছিল। তাহলে প্রশ্ন এদের গণপিটুনি দেওয়া হল কেন?
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বহিরাগতরা এসে রাজ্যে অশান্তির বাতাবরন তৈরী করতে চাইছে। অন্যদিকে রাজ্যে একের পর এক জায়গা থেকে তালিবানি কায়দায় মারধরের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের একাংশে কি তালিবানি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার চেষ্টা চলছে? ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি থানার খাতখুরা এলাকার ওই ঘটনার পেছনেও এই রকম কোনও ঘটনা কিনা সেটাই এই মূহুর্তে তদন্ত করছে পুলিশ।
মৃতের মা এবং বোন সরাসরি অভিযোগ করেছে অভিযুক্তরা ভিন রাজ্যের বাসিন্দা, এলাকায় বেআইনি ব্যাবসা চালানোর জন্য অশান্তির বাতাবরণ তৈরী করতে তাঁদের ছেলেকে খুন করেছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করলে সত্য সামনে আসবে।
২২ শে জুন জামবনি থানার খাটখুরা এলাকায় সৌরভ সাউ এবং অক্ষয় মাহাতকে মারধর করে ঠিকাদার সংস্থার লোকজন। জামবনি থানার পুলিশ খবর পেয়ে উদ্ধার করে তাদের নিয়ে আসে। তাঁদের প্রথমে চিল্কিগড় এবং পরে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩০ শে জুন মারা যায় সৌরভ সাউ । গুরুতর আহত অবস্থায় অক্ষয় মাহাত নামে এক যুবক ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।