নিউজ ডেস্ক: চোপড়াকাণ্ডের খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) শিলিগুড়ি পৌঁছান। ঠিক ছিল সড়কপথে তিনি চোপড়া পৌঁছবেন। ঠিক ছিল, চোপড়াকাণ্ডের আক্রান্ত এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। কিন্তু, আচমকা তাঁর চোপড়া সফর বাতিল হয়ে যায়। তিনি ফের শিলিগুড়ি থেকে দিল্লি ফিরে যান। তবে, আচমকা কেন তাঁর সফর বাতিল হল তা জানা যায়নি।
এদিন শিলিগুড়ি সার্কিট হাউসে বসে চোপড়াকাণ্ড নিয়ে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যেভাবে প্রকাশ্যে মহিলার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি বলেন, “যে সমাজ মহিলাদের রক্ষা করতে পারে না, সেই সমাজ সভ্যসমাজ বলে গণ্য হয় না। সরকারের সমর্থনে হিংসা চলছে রাজ্যে।” রাজ্যপালের এই বক্তব্যে তৃণমূল সরকার যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
রবিবারই চোপড়ার (Chopra Incident) লক্ষ্মীপুরে হওয়া একটি ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, এক তরুণ এবং এক তরুণীকে রাস্তায় ফেলে একছড়া কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারছেন এক ব্যক্তি। মার খেতে খেতে প্রায় গুটিয়ে যাওয়া তরুণীকে চুলের মুঠি ধরে টেনে এনে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে আবার চলছে মার। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই মহিলা বিবাহিত। তবে, তিনি এক ব্যক্তির সঙ্গে চলে যান। পরে ফিরে এলে তাঁদের কাছে ১০ হাজার টাকা জরিমানা চাওয়া হয়। টাকা না দিলে এলাকায় (Chopra Incident) থাকতে দেওয়া হবে না ফতোয়া দেওয়া হয়। তার পরও সেই টাকা না দেওয়ায় রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় তাঁদের। পরে, জানা যায়, ভিডিও যিনি তাঁদের মারছিলেন, তাঁর নাম তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি। তিনি তৃণমূল নেতা। তবে এলাকায় পরিচিত চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে। আর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়।