নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের দায়ের করা মানহানি
মামলার শুনানি ১০ জুলাই হবে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt) । মামলাটি শুনানির তালিকায় না থাকায় রাজ্যপালের আইনজীবী বৃহস্পতিবার
বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার পরেই বিচারপতি মামলার পরবর্তী
শুনানির দিন ঘোষণা করা হয়।
হাইকোর্টে রাজ্যপালের মানহানির
মামলার শুনানি (Calcutta Highcourt)
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে
(Calcutta
Highcourt) মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস(C V Ananda Bose) । তৃণমূলের দুই হবু বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রায়াত হোসেন সরকার এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও এই মামলায় যুক্ত করা
হয়েছে রাজ্যপালের তরফে। বুধবারই সেই মামলা বিচারপতি রাওয়ের বেঞ্চে উঠেছিল।
সম্প্রতি নবান্নের একটি সরকারি বৈঠক থেকে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছিলেন মমতা। তার
জেরে ওই মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যপাল। সম্প্রতি
নবান্নের একটি সরকারি বৈঠক থেকে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তার প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন সায়ন্তিকা, রায়াত
হোসেন সরকার এবং কুণাল ঘোষ। সেই কারণে তাদের ওই মামলাতে
যুক্ত করা হয়েছে বলে রাজভবন সূত্রে খবর।
অমিত শাহকে নালিশ রাজ্যপালের (C
V Ananda Bose)
বিধায়কের শপথ গ্রহণ
নিয়েও রাজভবন বনাম সরকার পক্ষের সংঘাত চলছে। দুই
বিধায়ককে রাজভবনে ডেকে পাঠানো হলে তাঁরা যাননি। শাসক দলের
তরফ থেকে রাজ্যপালকে বিধানসভায় এসে শপথ পাঠের কথা বলা হয়েছে। তবে সেই আবেদন
মৌখিক নাকি লিখিতভাবে করা হয়েছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন
উত্তর নেই শাসক শিবিরে। প্রসঙ্গত রাজ্যের দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ নিয়ে জটিলতা
প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, উনি (C V
Ananda Bose) হয় স্পিকারকে নয়তো ডেপুটি স্পিকারকে (শপথ পাঠের)
এই অধিকার দিন। আর তা না হলে নিজে বিধানসভায়
যান। রাজভবনে কেন সকলে যাবে? রাজভবনে
যা কীর্তি কেলেঙ্কারি চলছে, তাতে মেয়েরা ওখানে যেতে ভয়
পাচ্ছে বলে আমার কাছে অভিযোগ করেছে। নির্দিষ্ট দিনে এবং সময়ে দুই বিধায়ক রাজভবনে
না যাওয়ার ফলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায়। এরপর
রাজ্যপাল দিল্লি চলে যান। ইতিমধ্যেই অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। রাজ্যের
তিন শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। তিনি কঠোর ব্যবস্থা
নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। যে দুই পুলিশ আধিকারিক এবং এক
আমললার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে রাজ্যপাল নালিশ জানিয়েছেন,তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল আগেই সাংবিধানিক কার্যপ্রণালী
এবং আচরণবিধির লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন।