নিউজ ডেস্ক: ২ জুলাই পুণেতে এক পঞ্চান্ন বছর বয়সী মহিলা জিকা
ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর থেকে মাত্র দুদিনে
মহারাষ্ট্রে ৭ জন জিকা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। এমতাবস্থায় কেন্দ্র সরকার রাজ্যগুলিকে সতর্ক (Zika Alert) করেছে। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে।তাঁরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে জিকা
ভাইরাসে টেস্ট করতে বলা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে বাড়ছে জিকা
ভাইরাস আক্রান্তদের সংখ্যা (Zika Alert)
মহারাষ্ট্রের বেশ
কয়েকটি এলাকায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের
সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক দেশের
সকল রাজ্যগুলিকে অ্যাডভাইজারি জারি করেছে। গর্ভবতী মহিলারা জিকা (Zika
Alert) আক্রান্ত হলে ভ্রূণের বিকাশ ঠিকভাবে
হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
কিভাবে জিকা আক্রান্ত
হতে পারেন
জানা গিয়েছে এডিস (Aedes) মশার
কামড়ে জিকা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। স্বাস্থ্য
মন্ত্রকের তরফে ডঃ অতুল গোয়েল জানিয়েছেন শুধুমাত্র এডিস
মশার কামড়েই জিকা ভাইরাস হয়। এই মশার কামড়ে এই ডেঙ্গি এবং
চিকুনগুনিয়া হয়। এই ভাইরাসের খবর প্রথমবার ১৯৪৭ সালে উগান্ডায় পাওয়া যায়।
জিকা ভাইরাস সংক্রমিত মশা কামড় ছাড়াও এই ভাইরাস আক্রান্ত
ব্যক্তির যৌন সম্পর্ক, রক্তের সংক্রমণ এবং
প্রসবের সময় মা থেকে শিশুর মধ্যে প্লাসেন্টার মাধ্যমে (Zika Alert) ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে গর্ভবতী মহিলাদের প্রথম তিন মাসের মধ্যে আল্ট্রা
সাউন্ড করানোর সময় সাবধান থাকা উচিত।
জিকা ভাইরাসের লক্ষণ
সাধারণত জিকা ভাইরাসের
মাধ্যমে সংক্রমিত ৮০% ব্যক্তির মধ্যে এর সংক্রমণের
কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। কিন্তু ২০%
ক্ষেত্রে জ্বর, হাঁটু ও মাংসপেশিতে
ব্যথা সহকঞ্জাক্টিটিভাইটিসের মত লক্ষণ
দেখা দিতে পারে। এই ধরনের উপসর্গ টানা এক সপ্তাহের বেশি সময়
যদি দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সংক্রামক মশার কামড়ের
বহু দিন পরে মানবদেহে (Zika Alert) উপসর্গ দেখা দিতে পারে।