নিউজ ডেস্ক: পড়শি দেশ পাকিস্তান যখন দারিদ্রের জ্বালায় জ্বলছে, তখন ভারত থেকে ক্রমেই হঠছে গরিবি। অতিমারি-পর্বের গেরো কাটিয়েও ভারতে নিত্য কমছে দারিদ্রের হার (Poverty Declines)। ২০১১-১২ সালে ভারতে দারিদ্রের হার ছিল ২১.২ শতাংশ। সেটাই ২০২২-২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৫ শতাংশে। অর্থনৈতিক থিঙ্কট্যাঙ্ক এনসিএইআরের সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টেই (Think Tank Report) বলা হয়েছে এই কথা।
এই গবেষণাপত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রি-থিঙ্কিং সোশ্যাল সেফটি নেটস ইন আ চেঞ্জিং সোশ্যাইটি’। লেখক সোনালদে দেশাই। এনসিএইআরের এই কর্তা এই গবেষণাপত্রে যে ডেটা ব্যবহার করেছেন, তা প্রকাশিত হয়েছিল ‘ওয়েভ থ্রি অফ ইন্ডিয়া হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট সার্ভে’তে। ‘ইন্ডিয়া হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট সার্ভে ওয়ান’ এবং ‘টু’য়ের ডেটাও ব্যবহার করা হয়েছে। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘ইন্ডিয়া হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট সার্ভের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০০৪-২০০৫ সালে এবং ২০১১-১২ সালে দেশে দারিদ্র কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। হ্রাসের হার ৩৮.৬ থেকে কমে হয়েছে ২১.২ শতাংশ। ২০১১-১২ থেকে ২০২২-২৪ এর মধ্যে এই হার ২১.২ থেকে কমে হয়েছে ৮.৫ শতাংশ। করোনা অতিমারির চ্যালেঞ্জ সামলেও গরিবি হ্রাসে সফল হয়েছে ভারত’। প্রসঙ্গত, এই সময়সীমার একটা বড় অংশই নরেন্দ্র মোদির জমানা। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন তিনি।
এই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং দারিদ্র হ্রাস একটি গতিশীল আবহ তৈরি করে। যার জন্য প্রয়োজন সামাজিক সুরক্ষা প্রোগ্রামগুলি দ্রুত কার্যকর করা। সমীক্ষাপত্রটিতে (Poverty Declines) আরও বলা হয়েছে, নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলিকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়াটা ভারতের কাছে অন্যতম প্রধান একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই পর্ব কাটিয়ে (Think Tank Report) ভারত এগিয়েছে তরতর করে। অর্থনৈতিক বৃদ্ধির যুগে যখন সুযোগ বেড়েছে, তখন দীর্ঘ মেয়াদি দারিদ্রের নির্ধারকগুলি কমতে পারে। বিশেষত যখন অ্যক্সিডেন্ট অফ লাইফ সম্পৃক্ত প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অসু্স্থতা এবং মৃত্যুর সঙ্গে। প্রসঙ্গত, তেন্ডুলকর কমিটির রিপোর্টে যে দারিদ্র রেখার কথা বলা হয়েছে, সেটা হল, গ্রামীণ এলাকায় ৪৪৭ টাকা, আর শহরাঞ্চলে ৫৭৯ টাকা (Poverty Declines)।