নিউজ ডেস্ক: বলিউডে এক আবেগের নাম
মাধুরী দীক্ষিত।৫৭ বছর বয়সী অভিনেত্রী আজও বিউটি কুইন। নৃত্য, অভিনয় এবং প্রযোজনা সব
ক্ষেত্রেই তিনি এক অসামান্য প্রতিভা। তবে এক পাকিস্তানি ব্যবসায়ীর সঙ্গে কাজ করার
ঘোষণা করে তিনি সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়েছেন। পাকিস্তানি নাগরিক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী
রেহান সিদ্দিকীর সঙ্গে কর্মসূত্রে জোট বেঁধেছেন মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit) । এ নিয়েই এখন নেট
দুনিয়া উত্তাল।
উঠছে কনসার্ট বাতিলের দাবি (Bollywood)
প্রসঙ্গত ভারত ২০২০ সাল থেকে রেহান সিদ্দিকীকে ব্ল্যাকলিস্টেড করা হয়েছে। অভিযোগ
উঠছে রেহানের সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের
যোগ রয়েছে। আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপে মদত
দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে। আইএসআইয়ের এর সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে রেহান সিদ্দিকীকে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবার সেই রেহান সিদ্দিকীর কনসার্টে
মাধুরির যোগ দেওয়ারখবর সামনে এসেছে। ফলে
মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit) এখন সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তাঁর ভক্ত অনুরাগীরাই চাইছেন মাধুরি যাতে টাকার
লোভ দূরে সরিয়ে এই কনসার্ট বাতিল করুন। চলতি বছর আগস্ট মাসে
আমেরিকার হিউস্টন শহরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন রেহান সিদ্দিকী। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা মাধুরীর। বিষয়টি নিয়ে তখন হইচই হয়, যখনরাজনৈতিক ভাষ্যকার
সুনন্দা বশিষ্ঠ মাধুরী দীক্ষিতের সেই অনুষ্ঠানের পোস্টার প্রকাশ্যে
আনেন। একই সঙ্গে তাঁর এক্স একাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয় রেহান সিদ্দিকীকে ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সংবাদ।
অনুষ্ঠানের প্রোমোটার রেহান সিদ্দিকী সঙ্গে জোট বাঁধায় মাধুরী দীক্ষিতের
সমালোচনাও করেন তিনি। বলেন,“ভারত
সরকার যে পাকিস্তানি নাগরিককে অবৈধ কাজের জন্য ভারতে নিষিদ্ধ করেছে,তাঁর সঙ্গে মাধুরীকে কাজ করতে দেখে অবাক হচ্ছি।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল বলিউডের তারকারা যাতে তাঁর সঙ্গে কাজ না করেন। এবং ভারতে তাঁকে নিষিদ্ধ ঘোষণা
করা হয়।” যদিও মাধুরী দীক্ষিতের তরফে এখনো অবধি কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
প্রবল চাপে মাধুরি (Madhuri Dixit)
১৯৮৪ সালে ‘অবোধ’ সিনেমায় মাধুরী দীক্ষিত প্রথম অভিনয় করেন। এরপর ১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’ সিনেমা করেন তিনি। এরপর বেটা, রাজা,কোয়লা, খলনায়ক,অঞ্জাম, দিল, হাম আপকে হ্যায়কৌন, দিল তো পাগল হ্যায়, দেবদাস, কলঙ্ক সহ বহু সিনেমায় নিজের অভিনয়ের ছাপ রাখেন তিনি। প্রসঙ্গত ২০২০ সালে ভারত সরকারের মন্ত্রী জি কিষেন রেড্ডি ভারতীয়
অভিনেতা অভিনেত্রীদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারত বিরোধী
ব্যক্তিদের সঙ্গে অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ভারতের গোয়েন্দা দফতরের রিপোর্ট অনুসারে মন্ত্রকের তরফে ভারতীয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছে এই
অনুরোধ করা হয়েছিল। একইসঙ্গে রেহান সিদ্দিকী, রাকেশ কৌশল এবং দর্শন মেহেতাকে ব্ল্যাকলিস্ট করা হয়েছিল। এই নিষিদ্ধ ঘোষণা নেপথ্যে ছিল হিউস্টনে অবস্থিত
ভারতীয় দূতাবাস। অথচ সেই শহরেই অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছেন মাধুরী দীক্ষিত। প্রসঙ্গত
কতিপয় অনুষ্ঠানের আয়োজন এই সকল অনুষ্ঠান থেকে ওঠা টাকার একটা বড় অংশ জঙ্গি কার্যকলাপে
ব্যয় করে বলে অভিযোগ। বিশেষ করে আমেরিকা ও কানাডা এখন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদের আঁতুড়ঘর
হয়ে উঠেছে। সেই বিচ্ছন্নতায় মদত দেয় আইএসআই।
এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে বলিউড অভিনেতা অভিনেত্রীদের কাছে অর্থ কি তাঁদের দেশের ঊর্ধ্বে? প্রসঙ্গত মাধুরীর পাকিস্তানি
প্রোমোটারের সঙ্গে যোগের ঘটনায় এখন এর দুনিয়া উত্তাল।
মাধুরীর সমর্থকরা এখন তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। এক্স হ্যান্ডলে সুনন্দা বশিষ্ঠের ওই পোস্টের নীচে এক নেট ব্যবহারকারী লিখেছেন, আজীবন মাধুরীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। কিন্তু শেষ
পর্যন্ত তিনি যা কান্ড ঘটালেন তাতে আমার হৃদয় ভেঙ্গে খানখান। অন্য একজন লিখেছেন, মাধুরী দীক্ষিত সত্যি হতাশ করেছেন। আমি বুঝতে পারি
না যে বলিউডের লোকেদের কাছে দেশের চেয়ে অনেক বেশি টাকা। আশা করব ভারত বিরোধী
ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা বন্ধ হবে। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই মাধুরী দীক্ষিত অল আইজ অন রাফা টুলকিটের সমর্থন করেছিলেন। অথচ ভারতে যখন পাকিস্তানি জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল তখন
তিনি চুপ ছিলেন। এতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি বলিউড
(Bollywood) সেলেবরা কি নির্দিষ্ট টুলকিট দ্বারা পরিচালিত
হন?