নিউজ ডেস্ক: কেরলে ৩১.৫% চাকরি রয়েছে মুসলিম ও খ্রিষ্টানদের হাতে। বিধানসভায় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে ৫,৪৫,৪২৩ জন কর্মচারী (Govt Jobs) কাজ করেন। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী (Kerala) রাজ্যে ৭৩,৭৭৪ জন মুসলিম সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। অন্যদিকে রাজ্যে ৭৩,৭১৪ জন উচ্চ বর্ণের খ্রিস্টান
সরকারি কর্মচারী রয়েছেন।
কেরলে সরকারি চাকরি কাদের হাতে
(Kerala)
জানা গিয়েছে ল্যাটিন
চর্চার সদস্য ২২,৪৫২ জন কর্মী কেরল সরকারে (Govt
Jobs) কাজ করছেন। এদের মধ্যে ২৩৯৯ জন খুব
অল্প সময়ে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। ৯২৯ জন কর্মীকে নাদার খ্রিস্টান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মোট৯৯,৪৯৯ জন খ্রিস্টান কেরলের (Kerala) বিভিন্ন ধরনের সরকারি কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। অর্থাৎ সরকারি কর্মীদের মধ্যে
১৮.২৫% খ্রিস্টান সরকারি কাজের সঙ্গে যুক্ত। বাইবেল
না কুরান অনুসারে খ্রিস্টান এবং ইসলাম ধর্মে বর্ণবৈষম্য না থাকলেও কেরলে খ্রিস্টান
ও মুসলিমদের মধ্যে চরম বর্ণ বৈষম্য রয়েছে। মুসলিম ও খ্রিস্টান
মিলিয়ে সরকারি কাজের সঙ্গে যুক্ত ১,৭৩,২৬৮ জন কর্মী অর্থাৎ
সরকারি কর্মীদের ৩১.৫% ব্যক্তি এই দুই ধর্মের সঙ্গে যুক্ত। জৈন ধর্মের সঙ্গে যুক্ত
ব্যক্তিদের সংখ্যা মাত্র ২৭। তফসিলি জনজাতির সঙ্গে যুক্ত
ব্যক্তিদের সংখ্যা ১০,৫১৩। তফসিলি
জাতির সরকারি কর্মীদের সংখ্যা ৫১,৭৮৩। এই রাজ্যে ৭,১১৩ জন ব্রাহ্মণ সরকারি কর্মী রয়েছেন। অর্থাৎ তাদের
সংখ্যা মাত্র ১.৫%। এই রাজ্যের যাদব ২৬ জন এবং ২৮ জন ক্ষত্রিয় সরকারি কর্মী রয়েছেন। প্রায় ১,১৫,০০০ এঝাভা জাতির যুক্ত সরকারী কর্মী রয়েছেন। এই জাতি এই রাজ্যে দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত। এবং নায়ের সম্প্রদায়ের সঙ্গে
যুক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা প্রায় ১,০৮,০০০।
কেরলে বাড়ছে ধর্মপরিবর্তন
প্রসঙ্গত কেরলে ৪৯ শতাংশ মানুষ এব্রাহিমিক ধর্মে বিশ্বাস করেন। এদের
মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশ খ্রিস্টান এবং ২৭ শতাংশ ইসলাম ধর্মে
বিশ্বাসী। প্রসঙ্গত কেরলে বিরোধীরা বাম–কংগ্রেস জোট সরকারকে
তাদের রাজ্যের দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য নিয়মিত
বিধানসভায় আক্রমণ করে। প্রসঙ্গত কেরলে শিক্ষিতদের সংখ্যা বেশি হলেও ধর্ম পরিবর্তন একটি বড় সমস্যা হতে দাঁড়িয়েছে। খ্রিস্টান মিশনারি এবং বেশ কিছু তাবলিগ ইসলামী সংস্থা নিম্ন বর্ণের মানুষদের ধর্ম পরিবর্তনের জন্য প্রলোভন
ও চাপ দেয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে
এই ধরনের বহু ঘটনা সামনে এসেছে। এমনকি কেরলের (Kerala) একটি অংশের মানুষের মস্তিষ্কে উগ্রপন্থাও ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা
চালাচ্ছে বহু সংগঠন। এ নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারকে
রিপোর্ট দিয়েছে।