নিউজ ডেস্ক: ইউরোয় অঘটন! ঘরের মাঠে স্পেনের কাছে হেরে চলতি ইউরো কাপের (UEFA Euro 2024) কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিল আয়োজক জার্মানি। সবাই যখন টাইব্রেকারের প্রহর গুণছিল, ঠিক তখনই জ্বলে উঠলেন স্প্যানিশ তারকা মিকাইল মেরিনো। দানি ওলমোর দারুণ এক ক্রস থেকে অসাধারণ হেডে গোল করে দলকে সেমিফাইনালে তুললেন। অন্যদিকে ইউরো থেকে বিদায় নিল রোনাল্ডোর পর্তুগালও। এই ম্যাচে চেনা রোনাল্ডোর সেই ক্ষিপ্রতাই দেখতে পাওয়া গেল না। পাশাপাশি একাধিক গোলের সুযোগও মিস করলেন তিনি। শেষপর্যন্ত পেনাল্টি শ্যুট আউটে এই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়। পেনাল্টিতে রোনাল্ডো গোল করলেও , তা আর কাজে লাগেনি। ফ্রান্স ৫-৩ গোলে জয়লাভ করে এবং টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে পৌঁছে যায়। শেষ চারের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ফ্রান্স ও স্পেন (France vs Spain)।
স্টুটগার্ট এরেনায় রুদ্ধশ্বাস এক কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে স্পেন। এদিন দু’দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলল। ড্যানি অলমোর গোলে স্পেন প্রথমে এগিয়ে গেলেও জার্মানি হাল ছাড়েনি। প্রথমার্ধে স্পেনের দাপট ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় জার্মানি। দারুণ খেলে নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে এসে গোলও পেয়ে যায় তারা। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগে সমতা ফেরান ফ্লোরিয়ান উইর্ৎজ। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১১৮ মিনিটের মাথায় গোল করেন স্পেনের মিকেল মেরিনো। আর ফিরতে পারেনি জার্মানি। ঘরের মাঠে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। প্রথম থেকেই শারীরিক ফুটবল চলছিল। শুরুতে জার্মানির ফুটবলারেরা বেশ কয়েকটি কড়া ট্যাকল করেন। খেলার শেষ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন স্পেনের ড্যানি কার্ভাহাল। জার্মানি প্রথম আয়োজক দেশ যারা ইউরোর (UEFA Euro 2024) কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিদায় নিল।
কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স বনাম পর্তুগালের ম্যাচে নির্বিষ ফুটবলে ১২০ মিনিটেও কোনও গোল হল না। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে পর্তুগালকে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরো কাপের (UEFA Euro 2024) সেমিফাইনালে উঠে গেল ফ্রান্স (France vs Spain)। এবারের মতো ইউরো কাপ শেষ হয়ে গেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। তাঁর খেলা দেখে বোঝা গেল সিংহ এখন বুড়ো হয়েছেন। আর হয়তো ইউরোতে তাঁকে দেখাই যাবে না। গোটা ম্যাচে খুঁজেই পাওয়া গেল না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে। একই রকম নিষ্প্রভ থাকলেন কিলিয়ান এমবাপেও। আদর্শ বনাম শিষ্যের দ্বৈরথ এই ম্যাচে আলোচ্য বিষয় ছিল। দু’জনেই একই রকম খেললেন। মন ভরাতে পারলেন না কেউই। এমবাপের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের পর তাঁকে তুলে নিলেন কোচ দিদিয়ের দেশঁ। ফলে টাইব্রেকারে শট মারা হল না এমবাপের। তবে টাইব্রেকারের সময়ে সতীর্থদের গোলে উল্লাস করলেন বার বার।