নিউজ ডেস্ক: দিল্লির পর এবার বানভাসি অবস্থা মুম্বইয়ের। ২৪ ঘন্টায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি (Mumbai Rain)
হয়েছে বাণিজ্য নগরীতে। জলমগ্ন গোটা শহর। যানবাহন, ঘরবাড়ি ডুবেছে জলের তলায়। থমকে গিয়েছে ট্রেন। বন্ধ হয়ে গেছে স্কুল, কলেজ।ব্যাহত হয় ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা।
বানভাসি মুম্বই (Mumbai Rain)
বৃষ্টি বিধ্বস্ত মুম্বইয়ের বহু ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে।
কোথাও হাঁটু সমান জল, আবার কোথাও কোমর সমান জল জমেছে বাণিজ্য
নগরীতে। রাস্তায় বেরিয়ে বিপাকে পড়েছেন মুম্বইবাসী। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমনকি মুম্বইয়ের লাইফ
লাইন বলে পরিচিত লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ট্রেনের লাইন বৃষ্টির
জেরে (Mumbai Rain) ডুবে গিয়েছে জলের তলায়।ওয়ারলি, বানতারা ভবন, কুরলা ইস্ট কিং সার্কেল, দাদর, বিদ্যা বিহার স্টেশনের ট্র্যাক জলের নিচে। প্রতিদিন ৩০ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেন মুম্বইয়ে। কিন্তু ট্রেনের ট্র্যাক জলের তলায় চলে যাওয়ায়
ঝুঁকি নিয়ে রেল যাত্রা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল দফতর।
ময়দানে এনডিআরএফ
মৌসম ভবন জানিয়েছে, রাত একটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত ৬ ঘন্টায় ৩০০ মিলিমিটার (Mumbai
Rain) বৃষ্টি হয়েছে। মুম্বইয়ে পালঘর এবং ঠাণে এলাকায় বৃষ্টির জেরে কমলা সর্তকতা জারি হয়েছে। ২৪
ঘন্টায় সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বীর সাভরকর মার্গ এবং এমসি এমসিআর এলাকায় ৩১৫
মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের পর সকালবেলায়
পরিস্থিতি সামলানোর জন্য ময়দানে নামেন বিএমসির কর্মীরা। নর্দমা মুখ পরিষ্কার করা
হয়। কিছু কিছু জায়গায় পাম্প ব্যবহার করে জল সরানোর চেষ্টা
হচ্ছে। মুম্বই পুলিশও যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে জনজীবন স্বাভাবিক রাখা যায়।
বিএমসির তরফে জানানো হয়েছে, ঘন্টা দুয়েকের জন্য (Mumbai
Weather) বৃষ্টিপাত বন্ধ হলে জল নামানো সম্ভব হত। কিন্তু নিয়মিত বৃষ্টি হওয়ায় কর্মীরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন না। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, সোমবারও দিনভর বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মুম্বই জুড়ে ভারী থেকে অতি ভারী
বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে চট করে জলমগ্ন মুম্বইয়ের চিত্র বদলে যাবে, তা এখনই আশা করা যাচ্ছে
না। উল্লেখ্য শিন্দে শিবিরের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও বিধায়ক কুরলা স্টেশনের কাছে
আটকে রয়েছেন। এদিন ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দরের উড়ান পরিষেবাও বহুক্ষণ খারাপ আবহাওয়া
ও দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায়র ফলে বাধিত ছিল। ৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। পরিস্থিতি
স্বাভাবিক করতে ঠাণের কাছে এনডিআরএফ-এর দল মোতায়েন করা হয়েছে।