নিউজ ডেস্ক: মির্জাপুর সিজন-২ বেরোনোর পর অনেক দর্শকই হতাশ হয়েছিলেন। এটি ছিল প্রথম সিজনের তুলনায় অনেক স্লো। প্রথম সিজনের মত দর্শকদের টানতে ব্যর্থ হয় এই সিরিজ। কিন্তু
মির্জাপুর সিরিজ বলে কথা, তাই সিজন-৩ (Mirzapur
Season-3) নিয়ে হাজিরঅ্যামাজন প্রাইম (Amazon Originals) । মির্জাপুরের এক-একটি চরিত্র দর্শকদের মস্তিষ্কে ঢুকে আছে। যেমন মুন্না,
গুড্ডু, কালিন ভাইয়া আরও
অনেকে। এই ওয়েব সিরিজের ডায়লগ নতুন প্রজন্মের মস্তিষ্কে গেঁথে
আছে।
স্মৃতিচারণ
মির্জাপুর-২ সিজনের শেষে
দেখা যায় গুড্ডু, মুন্নাকে হত্যা করছে।
এরপর গুড্ডুর মা পুলিশের কাছে তাঁকে
সারেন্ডার করতে বাধ্য করে এবং ঘটনার সাক্ষী হয়ে ওঠে। যখন
তাঁকে জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন মাধুরী তাঁকে হত্যা করার একটু সুযোগ পায়। অন্যদিকে যখন গুড্ডুকে জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তখন তাঁকে অন্যান্য
কয়েদিরা ব্যাপক মারধর করে।এদিকে কালিন ভাইয়া তাঁর
রাজনীতির খেলায় ফিরে আসেন। কালিন ভাইয়ার ইচ্ছে তিনি
মির্জাপুরের একমাত্র হর্তা–কর্তা হয়ে
থাকবেন এবং এর জন্য তিনি শরদকে খেলা থেকে সরিয়ে দিতে চান।
গল্প
ঠিক চার বছর আগে যেখান থেকে মির্জাপুর-২ শেষ হয়েছিল, সেখান থেকে মির্জাপুর-৩ (Mirzapur Season-3) শুরু। চার বছর কেটে গেলেও মির্জাপুরের ঘড়ির কাঁটা
যেন আটকে গুড্ডু ও কালিন ভাইয়ের কাণ্ড কারখানায়। সিজন-৩ নতুন সিজনের শুরুতেই সব চরিত্রগুলো আরও ভয়ঙ্কর হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। মুখ্যমন্ত্রী
চান মির্জাপুরের বাহুবলি খেলা বন্ধ করতে। তাঁর জন্য তিনি রাজনীতির অস্ত্র প্রয়োগ করবেন।
মির্জাপুর-৩এ কালিন ভাইয়ার এন্ট্রি একেবারেই আহত বাঘের মত। গর্জন অনেকটাই বেশি। তবে এই সিজনের সারপ্রাইজ গোলুওরফে স্বেতা ত্রিপাঠি। এই সিজন অনেক বেশি রক্তমাখা। গুলিবর্ষণ আরও বেশি উগ্র। আগের দুই সিজনে যেমন গল্প টুইস্টের ছকে বাঁধা ছিল, সে জায়গায় এবার গুরুত্ব পাবে হিংসা।
অভিনয়
অভিনয়ের দিক থেকে পঙ্কজ ত্রিপাঠী, আলি ফজল, বিজয় বর্মা, রাসিকা দুগগল,স্বেতা ত্রিপাঠী সকলেই
অসাধারণ। নতুন সিজনে স্ক্রিন স্পেস বেশি পাওয়ায় সঠিক
ব্যবহার করেছেন আলি ফয়জল। তবে সেরা কালিন ভাইয়া মানে পঙ্কজ
ত্রিপাঠি। তাঁর চোখ, তার বডি
ল্যাঙ্গুয়েজ ডায়লগ এর তুলনায় অনেক বেশি কথা বলে। স্ক্রিনে (Mirzapur
Season-3) আসার পর তিনিই ফোকাস পয়েন্ট।