নিউজ ডেস্ক: ফের জঙ্গি হামলা জম্মু-কাশ্মিরে (Jammu and Kashmir)। ৩০ এপ্রিলের পর ৭ জুলাই। প্রথম শোক সামলে উঠতে না উঠতেই এল দ্বিতীয় দুঃসংবাদ। দু’মাসের ব্যবধানে শহিদ হলেন একই পরিবারের দুই সন্তান। ঘটনার জেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে সমগ্র পরিবার। শোকে কার্যত পাথর হয়ে গিয়েছেন বাবা-মা।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে কাঠুয়া (Kathua) জেলার মাছেদি এলাকায় রুটিন টহলদারি চালাচ্ছিল সেনাবাহিনী। ঠিক সেই সময় সেনার কনভয় লক্ষ্য করে অতর্কিতে হামলা (Terrorists Attacked) চালায় একদল জঙ্গি। এই হামলায় শহিদ হন ৫ সেনা জওয়ান। তাঁদেরই একজন ২৬ বছরের আদর্শ নেগি।
আর এর আগে ৩০ এপ্রিল রাতে উত্তরাখণ্ডের গ্রামের বাড়িতে এসেছিল এই একই দুঃসংবাদ। শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিল নেগি পরিবার। আদর্শর খুড়তুতো দাদা অর্থাৎ পরিবারের বড় সন্তান ৩৩ বছরের মেজর প্রণয় নেগি আর নেই। লেহতে ডিউটি করার সময় অক্সিজেনের অভাবে শহিদ (Terrorists Attacked) হয়েছিলেন তিনি। আর তাঁর মৃত্যুর দুমাসের মধ্যেই ফের দুঃসংবাদ পেল নেগি পরিবার।
২০১৮ সালে গারওয়াল রাইফেলসে যোগ দিয়েছিলেন আদর্শ। তাঁর বাবা কৃষক। পরিবারে রয়েছে মা, ভাই ও দিদি। পরিবার তরফে জানা গিয়েছে, ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত ভালো ছিলেন তিনি। গারওয়াল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাশ করে সেনায় যোগ দেন রাইফেলম্যান হিসেবে। শারীরিক দিক থেকেও ছিলেন দারুণ ফিট। এবার সেই তরুণের আকস্মিক শহিদ হওয়ার খবরে ভেঙে পড়েছে গোটা নেগি পরিবার। পাশাপাশি একই পরিবারের দুই সন্তানের দুমাসের মধ্যে শহিদ হওয়ার সংবাদে (Terrorists Attacked) শোকের ছায়া নেমেছে গোটা গ্রামে।
এদিন আদর্শর মৃত্যুর খবর তাঁর উত্তরাখণ্ডের গ্রামে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে নেগি পরিবার। দু’মাসের ব্যবধানে দুই সন্তানকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ উত্তরাখণ্ডের তেহরি জেলার থাটি দেগার গ্রাম। এ প্রসঙ্গে আদর্শের কাকা বলবন্ত সিং নেগি বলেন, ”মাত্র দু’মাস আগে দেশ রক্ষায় নিয়োজিত পরিবারের এক সন্তানকে হারিয়েছি। সে ছিল মেজর। আর সোমবার আদর্শকে হারালাম।”
অন্যদিকে, আদর্শ নেগির বাবা দলবীর সিং নেগি বলেন, “গত রবিবার ওর সঙ্গে কথা বললাম। ও তখন খাচ্ছিল। বলল-এখনই দৌড়তে হবে। বিয়েবাড়ির জন্য শেষবার ছুটি নিয়ে গ্রামে এসেছিল ছেলে। যদিও মার্চ মাসে বিয়ে মিটলে ও আবার সেনাবাহিনীতে ফিরে গিয়েছিল।” তিনি আরও বলেন, ”দু’মাসের ব্যবধানে দুই সন্তানকে হারালাম। গাড়ওয়াল এবং কুমায়ুন থেকে যাঁরা সেনায় কাজ করতে যান, তাঁরা প্রায়ই শহিদ হন। সরকারকে বলব এই নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে।”