নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (Recruitment Case)। সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত বড়ঞাঁর তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। কিন্তু সিবিআই হেফাজত থেকে বেরতে না বেরতেই ফের কি ইডির জালে ফাঁসলেন তিনি? বর্তমানে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে। কারণ, জানা গিয়েছে, এ বার ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেনে’র অভিযোগে ইডির ‘নিশানা’ হতে চলেছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রীকে তলব করে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে একটি সূত্রের দাবি। তার পরেই দানা বেঁধেছে এই জল্পনা।
এ প্রসঙ্গে ইডির একটি সূত্র জানিয়েছে, জীবনকৃষ্ণের স্ত্রী টগরির সম্পত্তি নিয়ে ‘খোঁজখবরের’ সূত্রেই তাঁকে জি়জ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। ওই সূত্রের দাবি, এরপর জীবনকৃষ্ণকেও সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে। জীবনকৃষ্ণের ‘পুকুরে ছুড়ে ফেলা মোবাইল’ থেকে যে তথ্য পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল বলে দাবি, তাতে ‘টাকা ফেরতের’ প্রসঙ্গ রয়েছে বলে জানিয়েছিল সিবিআই। সে ক্ষেত্রে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Case) টাকা লেনদেনের বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারে ইডি।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তদন্তে নেমে গত বছরের ১৪ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণের (Jiban Krishna Saha) কান্দির বাড়িতে টানা তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। এরপর ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই থেকেই প্রায় ১৩ মাস জেলে কেটেছে তাঁর। অভিযোগ, গ্রেফতারের সময় নিজের দুটি মোবাইল বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। এরপর বহু কষ্টে জল ছেঁচে সেই ফোন উদ্ধার করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা।
মোবাইল দু’টি থেকে বিভিন্ন তথ্য পুনরুদ্ধার করা হয় বলে পরে জানায় সিবিআই। যদিও জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha) মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ স্বীকার করেননি। এবার সেই মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ফের ইডির নজরে পড়লেন জীবনকৃষ্ণ।