নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশে এখন দুটোই বড় শক্তি। এক বিজেপি, অন্যদিকে কংগ্রেস। এক সময় ছিল যখন হিমাচল প্রদেশে নির্দল বিধায়করা বেশ
কিছু আসনে জয়ী হতেন। কিন্তু এখন
হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় (Himachal Assembly)একটিও নির্দল বিধায়ক নেই। উপনির্বাচনে আসন বাড়িয়ে বর্তমানে হিমাচল প্রদেশ
বিধানসভায় কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ৪০। এবং এটাও প্রথমবার যে মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর স্ত্রী একসঙ্গে বিধানসভায় বসবেন। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর স্ত্রী কমলেশ ঠাকুর উপনির্বাচনে(By-Poll
2024) ডেহরা আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। ফলে এই বিধানসভায় মহিলা
বিধায়কের সংখ্যা বেড়ে দুই হল।
নির্দল মুক্ত হিমাচল বিধানসভা
(Himachal Assembly)
২০২২ এর হিমাচল প্রদেশ
বিধানসভা
(Himachal Assembly) নির্বাচনে তিনজন নির্দল প্রার্থী জয়ী
হয়েছিলেন। হোশিয়ার সিং (ডেহরা),
আশীষ শর্মা (হামিরপুর)। এবং কে এল ঠাকুর (নালাগড়) নির্দল হিসেবে
নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ২৭ ফেব্রুয়ারি
রাজ্যসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজনকে ভোট দেওয়ার পর তাঁরা পদত্যাগ করেন। ২৩ শে ফেব্রুয়ারি তাঁরা বিজেপিতে
যোগদান করেন। এরা তিনজনই বিজেপির টিকিটে এবার উপনির্বাচনে (By-Poll 2024) লড়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের
মধ্যে দুজনই ডেহরা এবং নালাগড়থেকে পরাজিত
হয়েছেন। হামিরপুর থেকে আশীষ শর্মা শুধুমাত্র জয়ী হতে
পেরেছেন।
শক্তি বাড়ল সুখু সরকারের (By-Poll
2024)
যদিও মুখ্যমন্ত্রী
সুখবিন্দর সিং সুখু বলেন,“নির্দল বিধায়করা যে কাউকেই সমর্থন করতে পারেন। যে কোনও ব্যক্তি বা দলের বিরোধিতা করতে পারেন। কারণ তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতীক চিহ্নে জয়ী হননি। ফলেতাঁদের পদত্যাগ করার কোনও
প্রয়োজন ছিল না। প্রসঙ্গত হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় (Himachal Assembly) নির্দল বিধায়করা বহুকাল যাবৎ একটি গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে এসেছেন। ১৯৬৭ সালে নির্বাচনে ১২ জন নির্দল
জয়ী হয়েছিলেন।১৯৭২ সালের ৭ জন নির্দল জয়ী হয়েছিলেন। ২০২২ এ ৩ জন নির্দল জয়ী হয়েছিলেন। অতীতে একাধিক নির্দল প্রার্থী ক্যাবিনেটেরও
দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৯৮ সালের নির্বাচনে রমেশ ধবালা নামে এক নির্দল বিধায়ক
কংগ্রেসের সরকারে ক্যাবিনেট মন্ত্রী হয়েছিলেন। এর আগে হিমাচলে এমন একটিও নির্বাচন হয়নি,
যেখানে একজনও নির্দল প্রার্থী জয়ী হননি। তবে এখন আর হিমাচল বিধানসভায় কোন নির্দল বিধায়ক রইলেন না। এবং উপনির্বাচনে
২ বিধায়ক বাড়িয়ে আরও শক্তিশালী হল কংগ্রেসের সুখু সরকার। এবারের
রাজ্যসভা নির্বাচনেও বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়ের প্রার্থী হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা
থেকে ৩৪ টি ভোট পেয়েছিলেন। নির্দল প্রার্থীরা বিজেপিকে ভোট
দেওয়ায় সুবিধে হয়ে যায় বিজেপির প্রার্থীর।