নিউজ ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি (Delhi Liquor Scam) মামলায় ধৃত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Kejriwal) অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। তবে এখনই আম আদমি পার্টির প্রধানের কারামুক্ত হওয়ার ইঙ্গিত নেই। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দিয়েছে। যদিও কেজরিওয়াল এখনও সিবিআই হেফাজতে থাকায় সেই মামলায় পৃথকভাবে জামিন নিতে হবে তাঁকে। ১৭ই জুলাই সেই মামলার শুনানি হবে দিল্লি হাইকোর্টে। তার আগে তিহার থেকে মুক্তি মেলার সম্ভাবনা নেই কেজরির।
২১ মার্চ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হন (Delhi Liquor Scam)
২১ মার্চ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Kejriwal) গ্রেফতার করে ইডি। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি (Delhi Liquor Scam) ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁকে গ্রেফতারের বিষয়ে সরবরাহ করা হয়নি, এই অভিযোগে জামিনের আবেদন চেয়ে কেজরির আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এর আগে দিল্লি হাইকোর্টেও তিনি জামিনের আবেদন করেছিলেন, কিন্তু সেখানে আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল।
অবশেষে সুপ্রিমকোর্ট থেকে এল স্বস্তি
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরের আইনজীবী বিবেক জৈন বলেন, “আমরা শীর্ষ আদালতকে বলেছিলাম প্রয়োজনীয় নথি এবং তথ্য ছাড়াই গ্রেফতারি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সেই যুক্তির ভিত্তিতেই অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে। ১৭ জুলাই দিল্লি হাইকোর্টকেও আমরা একই কথা বলব।”
জামিন হলেও মুক্তি নয় (Kejriwal)
লোকসভা ভোটের সময় কেজরিকে কিছুদিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর মেয়াদ শেষ হলে ২ জুন তিনি আবার তিহার জেলে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর ২০ জুন দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালত কেজরিওয়ালের স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল। ইডির তরফে বৃহস্পতিবার কেজরিওয়ালের (Kejriwal) জামিন ৪৮ ঘন্টা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হলেও বিচারক এক লক্ষ টাকার বন্ধে জামিন দিয়েছিলেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া জামিনের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্ট আবেদন করেছিল ইডি। আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী একশো কোটি টাকার ঘুষ (Delhi Liquor Scam) চেয়েছিলেন বলেও হাইকোর্টকে জানায় তদন্তকারী সংস্থা। এবং বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন আইনের ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী জামিনের বিরোধিতা করে জমা দেওয়া নথিগুলি যথাযথভাবে রাউস এভিনিউ আদালতের বিচারক যথাযথভাবে বিবেচনা করেননি বলে অভিযোগ জানানো হয়। এরপর ২৫ জুন এদের আবেদন মেনে বিচারপতি সুধীর কুমার জৈন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজার অবকাশকালীন বেঞ্চ জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। জামিনের আবেদন খারিজ হতেই ২৫ জুন তিহারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর জেলবন্দি কেজরিকে নিজেদের হেফাজতে নেয় দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় অপর তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।