নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনের ফলাফলের একদিন পরেই রবিবার উত্তর প্রদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য যোগী আদিত্যনাথ সরকারের (Yogi Governments) প্রশংসা করলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। রাজ্য জুড়ে এক্সপ্রেসওয়ে এবং মেডিক্যাল কলেজ সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উলেখ্যযোগ্য কাজের কথাও তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে এদিন উত্তরপ্রদেশে বিজেপির এই সভায় বিরোধীদের লাগাতার চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণও করেছেন জেপি নাড্ডা।
এদিন কংগ্রেসকেও নিশানা করতে পিছ পা হন না জেপি নাড্ডা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “৯০ বার কংগ্রেস নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করেছে। বিজেপি জম্মু ও কাশ্মীরে ১০ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেছিল। এরপরেও সংসদে বলে যে এটি অস্থায়ী এবং অপসারণ করা হবে। আজ বিরোধীরা গণতন্ত্রের জন্য কান্নাকাটি শুরু করেছে এবং সংবিধানের রক্ষক হয়েছে। সংবিধানে লেখা আছে, ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যাবে না। কিন্তু তা অমান্য করে অন্ধ্রপ্রদেশে একবার নয়, চারবার ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
এছাড়াও তিনি আরও বলেন “বিজেপি এবং কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে ৬৪টি আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল। এর মধ্যে কংগ্রেস মাত্র ২টি আসন পেয়েছে, আর বাকি ৬২টি আসন জিতেছে বিজেপি।”
এদিন কংগ্রেস ও ইন্ডি জোটকে নিশানা করে জেপি নাড্ডা (J P Nadda)বলেন, ‘‘তিনটি লোকসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেসের সংখ্যা ১০০ পেরোয়নি। আজ দেশের ১৩টি রাজ্যে একজনও কংগ্রেস সাংসদ নেই। আমরা সমাজকর্মী বেশি, রাজনৈতিক কর্মী কম। আমরা সব সময় জনগণের স্বার্থে কাজ করেছি। কংগ্রেস একটা পরজীবী দল।’’
পাশাপাশি বিজেপির জাতীয় সভাপতি (J P Nadda) রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং উত্তরপ্রদেশকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করার জন্য যোগী আদিত্যনাথ সরকারের প্রশংসাও করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘একটা সময় ছিল যখন আইনশৃঙ্খলা সমস্যার কারণে লোকেরা উত্তরপ্রদেশ ছেড়ে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছিল। আজ, মাফিয়া রাজ শেষ হয়েছে। গত ১০ বছরে উত্তরপ্রদেশ অনেক উন্নতি করেছে। রাজ্যের অর্থনীতি দেশের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।”
নাড্ডার (J P Nadda) মতে, “২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখিয়ে দিয়েছে যে, যে দলই থাকুক না কেন, তারা যদি উত্তর-পূর্বে সক্ষম হয় তবে মধ্য ভারতে তারা শূন্য। উত্তর ভারতে যদি কোনও দল সক্ষম হয়, দক্ষিণ ভারতে সেই ম্যাজিক আবার দেখা যায় না। যদি পশ্চিম ভারতে সক্ষম হয়, তাহলে পূর্বদিকে দলের নাম নেওয়ারও কেউ নেই। আর কেন্দ্রে যদি কেউ সক্ষম হন, তবে বিজেপিই একমাত্র সর্বভারতীয় দল, যা পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর বা দক্ষিণ ভারত সর্বত্রই আছে।”