নিউজ ডেস্ক: মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে ফিরে ফের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। দিনদুয়েক আগেই নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ‘গুলিবিদ্ধ’ হয়েছিলেন। এবার সরকারিভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পদপ্রার্থী হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম ব্যক্তি যিনি যুক্তরাষ্ট্রে তিনবার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হচ্ছেন। সেই সঙ্গে তিনি বেছে নিলেন নয়া রানিং মেট, অর্থাৎ ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে। তিনি নিজেই সেই নাম প্রস্তাব করেন। ট্রাম্পের সহাকারী হওয়ার জন্য নির্বাচনে লড়বেন ৩৯ বছর বয়সি জেডি ভ্যান্স।
চলতি বছরের শেষেই আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (US President Election 2024) রয়েছে। তবে ট্রাম্পই (Donald Trump) যে আসন্ন নির্বাচনে তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী, তা এক প্রকার নিশ্চিতই ছিল। সোমবার সেই খবরেই সিলমোহর পড়ল। এদিন মিলাউকিতে ছিল রিপাবলিকানদের সম্মেলন। সেখানে কার্যত নায়কের মতো করে বরণ করে স্বাগত জানানো হয় মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসা ট্রাম্পকে। রিপাবলিকান পার্টির এই জাতীয় সম্মেলনেই আনুষ্ঠানিক ভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে মনোনীত করা হয়। সম্মেলনে ভোটাভুটিতে প্রায় আড়াই হাজার প্রতিনিধির সবকটি ভোটই পেয়েছেন ট্রাম্প। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও ১ হাজার ২১৫টি ভোটের (US President Election 2024) দরকার ছিলো ট্রাম্পের। নিজের ছেলে এরিক ট্রাম্প যখন ফ্লোরিডার প্রতিনিধিদের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন তখনই চূড়ান্ত হয়ে যায় ট্রাম্পের প্রার্থিতা। তুমুল করতালি, হর্ষধ্বনি ও বাদ্য বাজিয়ে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান সকলে।
এর আগেও একাধিক বার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন ওহাইওর সেনেটর জেডি ভ্যান্স। পেশায় আইনজীবী ভ্যান্স ২০২৩ সালে ওহাইওর সেনেটর হিসাবে নির্বাচিত হন। একটা সময় তাঁকে ট্রাম্পের (Donald Trump) সবচেয়ে বড় সমালোচক বলে মনে করা হত। এমনকি ট্রাম্পকে ‘আমেরিকার হিটলার’ বলেও অভিহিত করেছিলেন ভ্যান্স। তবে ২০২১ সাল থেকে ভ্যান্স এবং ট্রাম্পের মধ্যে বরফ গলতে শুরু করে। ফলে একসময় ট্রাম্পের ঘোরতর বিরোধী ভ্যান্স এবার ‘বন্ধুর’ ভূমিকায় থাকবেন।
এ প্রসঙ্গে সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প একটি পোস্ট করে লেখেন, ‘‘ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে জেডি আমাদের সংবিধানের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন। আমাদের সেনাবিহিনীর পাশে দাঁড়াবেন। আমেরিকাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমার পাশে থাকবেন।’’