নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী দেবাদিদেব মহাদেবের (Mahadev) প্রিয় মাস হিসেবে গণ্য করা হয় শ্রাবণ মাসকে (Shravan Festival 2024)। শ্রাবণ মাসের প্রত্যেক সোমবারে ভগবান শিবের উদ্দেশে পূজা অর্পণ করেন ভক্তরা। জ্যোতিষীরা জানাচ্ছেন, শ্রাবণ মাসের যে কোনও দিনেই শিবের পুজো করলে ফল লাভ হয়। অর্থাৎ দেবাদিদেবের আশীর্বাদ পেতে আলাদা করে সোমবারে উপাসনা করার কোনও প্রয়োজন নেই। ২০২৪ সালের শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার ২২ জুলাই। শ্রাবণ মাস চলবে ২০২৪ সালের ১৯ অগাস্ট পর্যন্ত, সেদিনটিও সোমবার। তাই শিব ভক্তদের জন্য চলতি বছরের শ্রাবণ মাস (Shravan Festival 2024) খুবই পবিত্র হতে চলেছে বলে মনে করছেন ধর্মশাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা। শ্রাবণ মাসে ভগবান শিবের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন উৎসবে পালিত হয় দেশজুড়ে। যেমন, শ্রাবণ সোমবার উপবাস, হিন্দি বলয়ের উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ উৎসব কানওয়ার যাত্রা, শ্রাবণ মাসের শিবরাত্রি (Mahadev), নাগপঞ্চমী, মঙ্গলা গৌরী উপবাস ইত্যাদি।
এক নজর আমরা দেখে নেব শ্রাবণ মাসের উৎসবের (Shravan Festival 2024) দিনগুলি
২২ জুলাই, সোমবার – প্রথম শ্রাবণ সোমবার ২৩ জুলাই, মঙ্গলবার – প্রথম মঙ্গলা গৌরীর ব্রত ২৪ জুলাই, বুধবার – গজানন সংকষ্টী চতুর্থী ২৭ জুলাই, শনিবার – কালাষ্টমী এবং মাসিক কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী ২৯ জুলাই, সোমবার – দ্বিতীয় শ্রাবণ সোমবার ৩০ জুলাই, মঙ্গলবার – দ্বিতীয় মঙ্গলা গৌরীর ব্রত ৩১ জুলাই, বুধবার – কামিকা একাদশী ০৫ অগাস্ট, সোমবার – তৃতীয় শ্রাবণ সোমবার ০৬ অগাস্ট, মঙ্গলবার – তৃতীয় মঙ্গলা গৌরী ব্রত এবং মাসিক দুর্গাষ্টমী ০৮ অগাস্ট, বৃহস্পতিবার – বিনায়ক চতুর্থী ০৯ অগাস্ট, শুক্রবার – নাগ পঞ্চমী ১২ অগাস্ট সোমবার – চতুর্থ শ্রাবণ সোমবার ১৩ অগাস্ট মঙ্গলবার – চতুর্থ মঙ্গলা গৌরী ব্রত এবং মাসিক দুর্গাষ্টমী ১৬ অগাস্ট, শুক্রবার – পুত্রদা একাদশী ১৯ অগাস্ট, সোমবার – রাখী বন্ধন এবং পঞ্চম শ্রাবণ সোমবার.
ভক্তদের বিশ্বাস, শ্রাবণ মাসের (Shravan Festival 2024) সোমবারে ভগবান শিবের পূজা করলে জীবনের সমস্ত বাধা-বিপত্তি দূর হয়। জীবনে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি নেমে আসে। এর পাশাপাশি মঙ্গলা গৌরী ব্রতের দিন পুজো করা হয় দেবী পার্বতীর। এই দিন দেবী পার্বতীকে সন্তুষ্ট করলে জীবনে চলার পথ মসৃণ হয় বলে মনে করেন ভক্তরা। এর পাশাপাশি এই পুজোতে দাম্পত্য জীবন সুখের হয় বলে বিশ্বাস রয়েছে। শ্রাবণ মাসের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে পালন করা হয় নাগপঞ্চমীর উৎসব। নাগপঞ্চমীর দিন সর্প দেবতার পুজো করেন ভক্তরা, এতে আধ্যাত্মিক শক্তি অর্জিত হয় বলে মনে করা হয়। এছাড়াও কুণ্ডলীতে যদি সর্পদোষ থাকে তাহলে সেখান থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।