নিউজ ডেস্ক: সময় পাল্টেছে, জীবনযাপনের পদ্ধতি বদলেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে শিশুদের ডায়াবেটিস (Type 1 Diabetes)। সব দেশে শিশুদের এ রোগে আক্রান্তের হার বাড়ছে। শিশু-কিশোরদের ডায়াবেটিস মূলত দুই ধরনের। প্রথমটির কারণ শরীরে ইনসুলিন তৈরি না হওয়া, যাকে বলে টাইপ১ ডায়াবেটিস। দ্বিতীয়টিতে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যায়, যার নাম টাইপ২ ডায়াবেটিস। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন যে সমস্ত শিশুরা টাইপ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের মধ্যে বড় ঝুঁকি থাকে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার। তারা উদ্বেগজনিত সমস্যায় (Mental Health Issues) ভুগতে থাকে, যাকে বলে অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার। ব্রিটেন ও চেক রিপাবলিকের একটি গবেষণা দল এমনই তথ্য সামনে এনেছে সম্প্রতি।
এই গবেষক দল আরও জানিয়েছে যে শিশুদের যারা টাইপ১ ডায়াবেটিসে (Type 1 Diabetes) আক্রান্ত তাদেরকে সর্বদাই পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার। একটি গবেষণা বলছে, বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ৮৭ লাখ শিশু টাইপ১ ডায়াবেটিসে। আক্রান্তদের মধ্যে ব্রিটেনেই এই সংখ্যা চার লাখ। সম্প্রতি, চেক প্রজাতন্ত্রের গবেষকরা সাড়ে চার হাজার শিশুর কাছ থেকে বিভিন্ন ডেটা সংগ্রহ করে, যারা টাইপ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সেই ডেটাতেই গবেষকরা লক্ষ্য করেন, যে সমস্ত শিশুরা ডায়াবেটিস আক্রান্ত নয়, তাদের সাপেক্ষে এই শিশুরা বেশি অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার এবং মুড ডিসঅর্ডারে ভোগে। প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ বেশি মুড ডিসঅর্ডার এবং অ্যাংজাইটিজ ডিসঅর্ডার স্বাভাবিক শিশুদের থেকে বেশি দেখা যায় টাইপ১ ডায়াবেটিস আক্রান্ত শিশুদের।
শিশুদের টাইপ১ ডায়াবেটিসের উপসর্গ দেখা দেয় তুলনামূলক কম বয়সে (Mental Health Issues)। আক্রান্ত শিশু দিন দিন শুকিয়ে যায়, ঘন ঘন প্রস্রাব করে আর দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে -এমনকি রক্তে শর্করা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় শিশুরা অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। টাইপ১ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে আগে থেকে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন পরিশ্রম ও নিয়ন্ত্রিত জীবনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন সম্ভব, এমনটাই বলছেন গবেষকরা।