নিউজ ডেস্ক: কারফিউ (Bangladesh
Protest) শিথিল হতেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার রাত থেকে ফের শুরু হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বুধবার থেকে খুলেছে অফিস–কাছারি। বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি অফিসগুলিকে চার
ঘন্টা দফতর খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এদিনই খুলেছে বিভিন্ন কলকারখানা। সরকারি এবং সরকারি ব্যাংক ফের খুলেছে।
স্বাভাবিক হচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh
Protest)
টানা এক
সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হিংসাত্মক আন্দোলনের পর বুধবার কারফিউ আংশিক শিথিল হতেই
রাস্তাঘাটে শুরু হয়েছে যান চলাচল। ধীরে ধীরে ফের স্বাভাবিক হওয়ার পথে বাংলাদেশ। ঢাকার রাজপথেও গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে আগের তুলনায়।
প্রসঙ্গত কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় জামাত ও বিরোধী দল বিএনপি (Quota
Protest) ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে হিংসাত্মক
গতিবিধি বাড়িয়ে তুলতেই শুক্রবার রাত থেকে গোটা বাংলাদেশে
কারফিউ জারি করা হয়েছিল। মাঝে অবশ্য কিছুক্ষণের জন্য শিথিল করা হয় কারফিউ। রবিবার থেকে মঙ্গলবার টানা তিন দিন পর্যন্ত সারা দেশে ছুটি ঘোষণা করেছিল
হাসিনা সরকার। তবে সেই ছুটি আর বাড়ানো হয়নি। বুধবার থেকেই
চার ঘন্টা অফিস কাছারি খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। না হলে সংকট
বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছিল। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম দুই
থেকে তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশের বাসিন্দাদের। কারফিউ শিথিল করে ফের স্বাভাবিক ছন্দে জনজীবন চালু করাই সরকারের
উদ্দেশ্য।
৮০০ জন গ্রেফতার (Quota
Protest)
কারফিউ শিথিল হলেও
ঢাকা সহ বিভিন্ন বড় শহরের রাস্তায় এখনও টহল দিচ্ছে
সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং পুলিশ। সংবাদ সংস্থা সূত্রের
খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে (Bangladesh Protest) হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে বাংলাদেশে মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৮০০ জনের বেশি (Quota
Protest) বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হিংসাত্মক আন্দোলনে মৃত্যু হয়েছে ১৬৮ জনের।