নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অল্প সময়ের জন্য সৈনিক ভর্তির
উদ্দেশ্যে সরকার অগ্নিবীর (Agniveer Indian Army) প্রকল্প
চালু করেছে। সরকারের উদ্দেশ্য অল্প সময়ের জন্য তিন বাহিনীতে
তরুণ সৈনিক ভর্তি করা। ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনায় প্রায় এক লক্ষ অগ্নিবীর ভর্তি করা হয়েছে। বেশি সংখ্যায় তরুণ
প্রজন্মকে ভর্তি করলে সেনায় তারুণ্য ও সংখ্যা বল দুটোই
বাড়বে। এই লক্ষ্যেই সরকার অগ্নিবীরের(Agniveer
Budget) বাজেটেও রেকর্ড হারে বৃদ্ধি করা
হচ্ছে।
অগ্নিবীরের
বাজেট বরাদ্দ (Agniveer Budget)
২০২২-২৩ প্রাথমিকভাবে
অগ্নিবীর প্রকল্পের জন্য ১৫৯.৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা
হয়েছিল। শুধুমাত্র প্রকল্প চালু জন্য প্রাথমিক বাজেট ছিল এটি।
২০২৩-২৪ সালে ধাক্কায় এই বছর বাজেট বরাদ্দ (Agniveer Budget) বাড়িয়ে ৩,৮০০ কোটি টাকা করা হয়। এবারের বাজেট বরাদ্দ ছিল
নিয়োগ, পরিকাঠামো বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন খাতে খরচ বাবদ।
২০২৪–২৫ চলতি বছর বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করে ৫,২০৭.২৮ কোটি
টাকা করা হয়। নিয়োগ পরিকাঠামো বৃদ্ধি সহ অগ্নিবীর প্রকল্পে আরওকিছু উল্লেখ্যযোগ্যপরিবর্তন ও উন্নয়নের জন্য এই উদ্যোগ সরকারের।
অগ্নিবীরের উপর
সরকারের ভরসা (Agniveer
Indian Army)
সরকার চাইছে আগামী
কয়েক বছরের মধ্যে ৪ থেকে ৫ লক্ষ অগ্নিবীর ভারতীয়
সেনার ৩ বিভাগে ভর্তি করা হবে। এর ফলে সৈন্য বাহিনীর সংখ্যা
এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে। ফলে ভারত প্রত্যেক সময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত
থাকবে। সরকার পরপর বাজেট (Agniveer Budget) বৃদ্ধি করার
পিছনে যুক্তি হল, অগ্নিবীদের প্রয়োজনীয় অস্ত্র উর্দি ও
অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস প্রদান করা। এর জন্য সেনায়
প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র প্রয়োজন।
সরকার সব দিকে নজর রেখেই পরপর বরাদ্দ বাড়িয়ে চলেছে। প্রাথমিক বাজেটে সরকার পরিকাঠামগত উন্নয়নের দিকে নজর দিয়েছিল। ধীরে ধীরে সরকার
অগ্নিবীদের কৌশলগত বৃদ্ধির সংক্রান্ত বিনিয়োগের দিকে নজর দিতে শুরু করে।
অগ্নিবীর প্রকল্পে সরকারের আস্থা
অগ্নিবীর প্রকল্পে
ক্রমাগত (Agniveer
Budget) বিনিয়োগ বৃদ্ধি সরকারের এই প্রকল্পের সাফল্যের দিক নির্দেশ
করে। বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বোঝা যায় সরকার অগ্নিবীরদের (Agniveer Indian Army) উপরে
যথেষ্ট আস্থা রেখেছে। প্রসঙ্গত চীন ও পাকিস্তান দু দিক থেকেই ভারতের উপর যুদ্ধের
মেঘ ঘনিয়ে আসছে। একদিকে লাইন অফ একচুয়াল কন্ট্রোলে ড্রাগনের ক্রমাগত আগ্রাসন
বৃদ্ধি অন্যদিকে ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানের পাঠানো জঙ্গিদের তান্ডব ও
মাদক পাচারের সমস্যা ঠেকাতে অতিরিক্ত বাহিনীর প্রয়োজন বোধ করে সেনা। প্রয়োজনে
অগ্নিবীদের দুই ফ্রন্টে পাঠানোর জন্য তৈরি করা হচ্ছে।