নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Quota Reform) অশান্তি থামার
কোনও লক্ষণ নেই।
সেনা নামিয়েও মিলছে না স্বস্তি। আন্দোলনকারী সংগঠনগুলি জানিয়েছে তাঁরা লড়াই
ছাড়ছে না।
এমতাবস্থায় বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব পড়েছে ভারতেও। বাংলাদেশে পড়াশোনার জন্য যাওয়া ছাত্রদের
একটা বড় অংশ ইতিমধ্যেই ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে (Business
with Bangladesh) প্রভাব পড়েছে। আটকে পড়েছে ৩০০ টি পণ্যবাহী যানবাহন।
বাংলাদেশ থেকে ফিরে ছাত্রের
বক্তব্য (Bangladesh
Quota Reform)
বাংলাদেশে এমবিবিএস
পড়তে যাওয়া গুজরাটের বাসিন্দা মোহাম্মদ সমন বলেন,“ওখানে পরিস্থিতি খুব খারাপ। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থায় কাটছাঁট করে
দেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ। মোবাইলেও ঠিকমত কথা শুনতে পাওয়া যাচ্ছে
না। বাড়ির সঙ্গে কোনও ভাবে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ
করি।
এরপর দূতাবাসের তরফে আমাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।” দেশে ফিরে আসলেও (Bangladesh
Quota Reform) পরিস্থিতি ফের কবে স্বাভাবিক হবে, পড়াশোনার কি হবে, তা নিয়েও চিন্তায় রয়েছে
বাংলাদেশে যাওয়া পড়ুয়ারা। কারণ ইউক্রেনের স্মৃতি এখনও টাটকা। যুদ্ধের জন্য যারা
ইউক্রেনে পড়তে গিয়েছিল তাঁদের মাঝপথে ফিরে আসতে হয় । তাদের আর ইউক্রেনে যাওয়া
হয়নি। ডিগ্রি সম্পূর্ণ করা হয়নি।
ব্যবসায় ক্ষতি (Business
with Bangladesh)
বাংলাদেশের অশান্তির
প্রভাব পড়েছে ব্যবসা বাণিজ্যেও। বাংলাদেশ
থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে মাছ ভারতে আসত। ভারত থেকে বিভিন্ন ধরণের পণ্য
বাংলাদেশে যেত।বাংলাদেশ
থেকে ইলিশ, ট্যাংরা, পাবদা, পাঙাস জাতীয় মাছ ভারতে আসত। ভারত থেকেও চাষ করার রুই, কাতলা, কই, কাচকি, পুঁটি, ভেটকি সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ এবং কাঁকড়া যত বাংলাদেশে। অশান্তির জেরে আমদানি রফতানি (Business
with Bangladesh) সব বন্ধ। দক্ষিণ এশিয়ার তথা ভারতের সবচেয়ে বড়
স্থলবন্দর পেট্রাপোল। প্রত্যেকদিন কয়েকশত কয়েকশো পণ্যবাহী ট্রাক এপার–ওপার হতো। কিন্তু এই মুহূর্তে পেট্রাপোল একেবারে শুনশান। মানুষের যাতায়াত
অল্প–স্বল্প হচ্ছে ঠিকই, তবে পণ্য
পরিবহন একেবারে তলানিতে।
বাংলাদেশে বিরোধীদের ভারত
বিরোধী চক্রান্ত
এমনিতে বাংলাদেশে
ভারতের প্রতি অসন্তোষ বৃদ্ধির চক্রান্ত চলছে। যার মূলে রয়েছে শাসকবিরোধী
রাজনৈতিক শক্তি জামাত–এ–ইসলামি
এবং বিএনপি। তাঁরা ক্রমেই বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ভারত বিরোধী সেন্টিমেন্ট তৈরি
করার চেষ্টা করছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও অবিচ্ছেদ্য
সম্পর্কের পক্ষে সওয়াল করেছেন।এমতাবস্থায়
পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ,
রাজস্থান, চন্ডিগড় থেকে বাংলাদেশে আটকে পড়া প্রায় ৩০০
পণ্যবাহী ট্রাকের চালকরা খুবই সমস্যায় আছেন। একদিকে তাঁদের গাড়ির সুরক্ষা নিয়ে
প্রশ্ন, অন্যদিকে তাঁদের খাদ্য এবং নিরাপত্তা নিয়েও সংকট
তৈরি হয়েছে। প্রত্যেকদিন ১৫০ কোটি টাকার বাণিজ্য ঘাটতি (Business with
Bangladesh) হচ্ছে। প্রতি বছর শুধুমাত্র পেট্রাপোল বন্দরের মাধ্যমে প্রায়
৩০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই
কোটা বিরোধী (Bangladesh Quota Reform)আন্দোলনের ১৫৫ জনের
বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কোটা ব্যবস্থা সংস্কার হওয়ার পর আন্দোলন অনেক থিতু
হয়েছে। তা সত্ত্বেও দেশ থেকে এখনই কারফিউ তোলা হয়নি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে
ছোটখাটো অশান্তি এখনও অব্যাহত। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হয় এবং
ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।