নিউজ ডেস্ক: অলিম্পিক্সের (Paris Olympics 2024) ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এখনও হয়নি, তবে তার আগেই ফুটবলে ধুন্ধুমার। অলিম্পিক্স, ক্রীড়া ক্ষেত্রে মেগা ইভেন্ট। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগেই নানা ইভেন্ট শুরু হয়ে যায়। প্রথমেই শুরু হয়েছে অলিম্পিক্স ফুটবল। নজর ছিল কোপা আমেরিকা তথা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ম্যাচের দিকে। বাড়তি উন্মাদনা ছিল ইউরোপ সেরা স্পেনের ম্যাচ ঘিরেও। মরক্কোর বিরুদ্ধে বিতর্কিত ম্যাচে ১-২ । গোলে হেরে গেল লিয়োনেল মেসির দেশ। অন্যদিকে জয় দিয়েই শুরু করল স্পেন। উজবেকিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারাল তারা।
কোপা জয়ী দল প্যারিস অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024) প্রথম ম্যাচেই হেরে গেল মরক্কোর বিরুদ্ধে। সেই ফুটবল ম্যাচ ঘিরে তৈরি হল নানা নাটক। দু’ঘণ্টা ধরে বন্ধ থাকল ম্যাচ। খেলা শুরু হতেই আর্জেন্টিনার গোল বাতিল। ১-২ মরক্কোর বিরুদ্ধে ৬৭ মিনিট পর্যন্ত ০-২ গোলে পিছিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। সদ্য কোপা জয়ী দেশের বিরুদ্ধে তখন জয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন মরক্কোর সমর্থকেরা। ৬৮ মিনিটে একটি গোল শোধ করেন জিউলিয়ানো সিমিয়নে। নির্ধারিত সময়ে এগিয়ে ছিল মরক্কো। কিন্তু ম্যাচে ১৫ মিনিট সংযুক্তি সময় দেওয়া হয়। সেই সময়ের শেষ মিনিটে গোল করেন মেদিনা। তাঁর করা গোলেই সমতা ফেরায় আর্জেন্টিনা। তার পরেই শুরু বোতলবৃষ্টি। ফুটবলারদের দিকে লক্ষ্য করে উড়ে আসে আতশবাজি। চমকে ওঠেন আর্জেন্টিনার ফুটবলারেরা। অভিযোগ, আর্জেন্টিনা গোল শোধ না করা পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যান রেফারি। গ্যালারিতে প্রবল অশান্তি হয়। দীর্ঘ সময় ধরে ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারিরা এই গোল নিয়ে পর্যালোচনা করেন। আর্জেন্টিনার গোল বাতিল করে দেওয়া হয়। মরক্কো ২-১ ব্যবধানে জেতে।
একঝাঁক তরুণ ফুটবলারকে নিয়ে দল গড়ে ইউরো কাপে নজর কেড়েছিল স্পেন। তাদের দ্রুতগতির পাসিং ফুটবল, প্রতিপক্ষকে বিব্রত করে ছেড়েছিল। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্পেন। অলিম্পিক্সে অনূর্ধ্ব ২৩ ফুটবলার খেলানোর নিয়ম। তবে ২৩-এর বেশি বয়সি তিন ফুটবলারকে রাখা যায়। স্পেন কার্যত ইউরো জয়ী স্কোয়াডকেই অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024) নামিয়েছে। তাঁর সুফলও পেল। অলিম্পিক্সে গ্রুপ পর্বে উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করল স্পেন।