নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে হাইড্রোজেন (Hydrogen Highways) বিতরণ পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এর কারণ অপ্রচলিত শক্তির উৎসগুলিকে বিপুলভাবে ব্যবহার করতে চাইছে ভারত সরকার। কারণ পরিবেশ বান্ধব এই শক্তির ব্যবহারের ফলে দূষণ যেমন হয় না, তেমনই তা পকেট সাশ্রয়ীও হয়। সাধারণ মানুষের কাছে পরিবহণের (Clean Transportation) জন্য হাইড্রোজেন আগামী দিনে ডিজেল বা পেট্রোলিয়ামের বিকল্প হতেই পারে।
সরকার পণ্যবাহী এবং যাত্রীবাহী যে কোনও ধরনের যানবাহনের জন্যই হাইড্রোজেন করিডরের (Hydrogen Highways) পরিকল্পনা করেছে। সাধারণভাবে এরকমই একটি করিডর হতে চলেছে দিল্লি-আগ্রা রুট। সরকারের তরফ থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। টাটা মোটরস ও অশোক লেল্যান্ড-এর মতো শীর্ষস্থানীয় সংস্থাগুলি বর্তমানে গবেষণা চালাচ্ছে, যে কিভাবে হাইড্রোজেন (Clean Transportation) চালিত যানবাহনগুলিকে আরও উন্নত করা যায়। মনে করা হচ্ছে এই কাজে বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ভারতে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে বৈদ্যুতিক যানবাহনের চাহিদা। এরই মধ্যে এক তথ্য এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রতিবছর ভারতে প্রায় ৬৫ লাখ মেট্রিক টন হাইড্রোজেন উৎপাদন হয়, এগুলি প্রধানত ব্যবহৃত হয় তৈল শোধনাগার কেন্দ্র ও সার উৎপাদনের জন্য। ন্যাশনাল গ্ৰিন হাইড্রোজেন মিশনের তরফ থেকে ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে এর উৎপাদন বাড়ানো হবে।
তবে হাইড্রোজেনের (Hydrogen Highways) সে অর্থে ব্যাপক ব্যবহার ভারতবর্ষে শুরু হয়নি। ভারতে মাত্র কতগুলি হাইড্রোজেন ফিলিং স্টেশন তৈরি হয়েছে এবং এগুলিকে দেখাশোনা করে ভারতের সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক এবং পুনর্নবীকরণ শক্তি মন্ত্রক। জানা গিয়েছে আগামী দিনে এই মন্ত্রকগুলি নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে আরও বেশি পরিমাণে হাইড্রোজেন ফিলিং স্টেশন তৈরি করতে চাইছে দেশে। সরকারের লক্ষ্য হল হাইড্রোজেন করিডর স্থাপন, বিভিন্ন বাড়িতে হাইড্রোজেনের সঞ্চয় করার জন্য প্রচারও শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে এই সমস্ত বিষয় নিয়েই কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করির নেতৃত্বে খুব শীঘ্রই একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।