নিউজ ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের (U.P.) মেরঠ (Meerut Police) এলাকায় এক কিশোরীকে অপহরণ করে
পরে গণধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা ঘটল।তাঁর মুখ অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দুইদিন নিখোঁজ থাকার পর পর ওই কিশোরীর
দেহ পাওয়া যায়।
এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।মৃতের
পরিবার দেহ রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন বলে জানা গিয়েছে। এই
ঘটনায় হাসিন মূল অভিযুক্ত বলে জানা গেছে।হাসিন ওই কিশোরীকে পছন্দ
করত বলে জানা যায়।কিন্তু
কয়েকদিন ধরে মেয়েটিকে ব্ল্যাকমেল করছিল বলে অভিযোগ।ঘটনার কয়েকদিন আগে ব্ল্যাকমেলের
যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ওই কিশোরী হাসিনকে চড় মারে।এর পর প্রতিশোধ নিতেই হাসিন
বন্ধুদের সঙ্গে মিলে এই কাণ্ড ঘটায় বলে অভিযোগ।
পরিবারের
অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার (U.P.)
পুলিশ
(Meerut
Police) সূত্রে খবর, মৃতের পরিবার তাঁদের কাছে
ওই কিশোরীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে। এরপর ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযোগ জানানোর কয়েক দিনের মধ্যেই
নাবালিকার দেহ পাওয়া যায়। পরিবারের তরফেও ওই চার অভিযুক্তকেই সন্দেহ করা হচ্ছিল। এরপর (U.P.) পুলিশ
অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ঘটনাস্থল থেকে চাকু এবং একটি স্কুটি
পাওয়া যায়।পুলিশের
অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড এই ঘটনার পর বিভিন্ন স্কুলে এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নাবালিকা
ও তরুনীদের কীভাবে বিপদে পড়লে বাঁচতে হবে সেই কৌশল শেখায়।
নির্ভয়া
কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি (Meerut Police)
স্থানীয়রা জানিয়েছে
প্রথমে ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়। ঠিক যেভাবে দিল্লির নির্ভয়াকে যন্ত্রণা দিয়ে
হত্যা করা হয়েছিল, ঠিক একইভাবে ওই নাবালিকার গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া
হয়। জানাজানি আটকাতে তারপর ওই চারজনে মিলে নির্মমভাবে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে। এবং তার দেহ চাষের জমিতে
ফেলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে গোপনাঙ্গ থেকে তীব্র রক্তক্ষরণের জেরে ওই কিশোরীর
মৃত্যু হয়। মৃতের পরিচয় লুকানোর জন্য মুখে অ্যাসিড ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
মৃতের পরিবার অভিযুক্তদের চরম শাস্তির দাবি জানিয়েছে। ২০১২ সালে একই ধরনের ঘটনা
ঘটেছিল দিল্লিতে। সেই নির্ভয়ার ঘটনাই যেন ফের পুনরাবৃত্তি হল ফের এক বার, এক দশক
পর (U.P.) মেরঠে।