নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র স্মার্টফোন ব্যবহার করেই দারিদ্র্য থেকে মুক্তিলাভ! এও আবার সম্ভব নাকি? হ্যাঁ, গত পাঁচ থেকে ছয় বছরে ভারত ৮০০ মিলিয়ন মানুষকে দারিদ্র্য (India poverty) থেকে বের করে এনেছে “শুধুমাত্র স্মার্টফোন ব্যবহারের মাধ্যমে।” সম্প্রতি ইউনাইটেড নেশনস জেনারেল অ্যাসেম্বলি (UNGA)-এর ৭৮তম অধিবেশনের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস মুখে শোনা গেল এমনই বার্তা।
এদিনের বক্তৃতাতে ডিজিটালাইজেশন (Digitalisation) উপর জোর দিয়ে ভারতের কাজের তুমুল প্রশংসা করলেন ডেনিস ফ্রান্সিস। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের বিভিন্ন গ্রামে যাদের আগে ব্যাঙ্কিং পেমেন্ট সিস্টেমে অ্যাক্সেস ছিল না তারা এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করে বিল পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছেন। ভারতে ডিজিটালাইজেশন নিয়ে যেভাবে কাজ হচ্ছে তাতে, গত ৫-৬ বছরে ৮০০ মিলিয়ন নাগরিক দারিদ্র থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
নরেন্দ্র মোদি সরকারে আসার পর থেকেই টানা জোর দিয়েছেন ডিজিটালাইজেশনের (Digitalisation) উপরে। গত ১ দশক ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম ফোকাস এর উপরে রয়েছে। দেশে ইদানিং ডিজিটাল পেমেন্টও অনেকটাই বেড়েছে- ইউপিআই পেমেন্টেও জোয়ার এসেছে। ডেনিসের মতে, ভারতে ইন্টারনেট সহজলভ্য, সেই কারণেই এমন লাভ পেয়েছে ভারত। ডেনিস আরও বলেন, ”ভারতের গ্রামীণ ক্ষেত্রের কৃষকরা, যাঁদের এতদিন ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ ছিল না, তাঁরা এখন যাবতীয় লেনদেন স্মার্টফোনে করছে। নিজেদের খরচ দিচ্ছে, আবার নিজের অর্ডারও ওই স্মার্টফোনের মাধ্যমেই পাচ্ছে। কিন্তু এই পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ এলাকাতেই নেই, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথ-এ।”
প্রসঙ্গত, গত ১০ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ডিজিটালাইজেশন (Digitalisation)। ২০১৬ সালে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পর থেকেই ডিজিটাল পেমেন্ট লেনদেনে অগ্রগতি আসে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর জন ধন, আধার এবং মোবাইল- জাম (JAM) উদ্যোগের মাধ্যমে ডিজিটালাইজেশন বৃদ্ধি পেয়েছে। এই উদ্যোগের অধীনে, ভারতের বহু গ্রামের লক্ষ লক্ষ লোক তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিকে আধারের সাথে যুক্ত করার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতেও সুবিধা হচ্ছে তাদের। এসব কারণেই স্মার্টফোনের মাধ্যমে ৮০ কোটি ভারতবাসীর দারিদ্র্যমুক্তি ঘটেছে গত কয়েক বছরেই।