নিউজ ডেস্ক: গদিচ্যুত হয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সোমবার ভারতে আসেন হাসিনা (Sheikh Hasina)। তবে এর পরবর্তী পদক্ষেপ কী? কোথায় থাকবেন হাসিনা? বিশেষ সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়া পর্যন্ত আপাতত ভারতেই থাকবেন হাসিনা। ইতিমধ্যেই তাঁকে সাময়িকভাবে ভারতে থাকার অনুমোদন দিয়েছে নয়াদিল্লি।
গণআন্দোলনে জ্বলছে অশান্ত বাংলাদেশ। সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দিল্লির কাছে হিন্ডন সামরিক বিমানঘাঁটিতে শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন রেহানাকে নিয়ে অবতরণ করে একটি সিজে-১৩০ বিমান। শোনা যাচ্ছিল, জ্বালানি নিয়ে সেটি রওনা দেবে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে। কিন্তু তারপর শোনা যায়, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক নির্দেশ পাওয়া যায়নি। ফলে এরপর আর ভারত (India) ছাড়তে পারেননি হাসিনা। জানা গিয়েছে, নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ভারতেই থাকবেন তাঁরা। তবে উল্লেখ্য, “বাংলাদেশের জনক” শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে অর্থাৎ হাসিনার বোন রেহানা যুক্তরাজ্যের নাগরিক।
প্রায় দুই দশক ধরে বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পদত্যাগের পর অভিভাবকহীন দেশের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। অর্থাৎ প্রতিবেশি দেশটির ক্ষমতা এখন সেনাবাহিনীর হাতে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, ” আমরা অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করব।” তবে প্রতিবেশি দেশের এই পরিস্থিতিতে ঢাকায় ভারতীয় (India) হাইকমিশন উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা সেখানে ভারত-বাংলাদেশ সমন্বয় প্রচেষ্টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। ভারতীয় এজেন্সিগুলির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বর্তমানে বাংলাদেশের মাটিতে রয়েছেন, যারা ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের সমস্ত এলাকাতে উপস্থিত ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে।