নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন হিংসার ঘটনা
বাড়তেশুরু করে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ
করার পর থেকে হিংসা, অগ্নিসংযোগের পরিমাণ আরও বেড়েছে।বিভিন্ন জায়গায়
দোকানপাট লুট করা হচ্ছে। সরকারি দফতরে
অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে।কোটা বিরোধী আন্দোলন
পরিণত হয়, সরকার বিরোধী আন্দোলনে। সরকারের পতনের পর এখন
হিন্দুদের (Bangladeshi Hindus) টার্গেট করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আরএসএস (RSS)
।
আরএসএসের দাবি (RSS)
আরএসএস সরকারের কাছে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS)
সর্বভারতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ভৈয়াজি জোশী বলেন,
বাংলাদেশে (Bangladeshi Hindus) হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত
করার জন্য আরএসএস কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সম্মুখীন। ” জোশি মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের
কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় একথা জানান। জোশি আরও বিশদভাবে বলেন,
“বাংলাদেশ একটি ভিন্ন দেশ। সন্ত্রাসকে বলিত বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি
জেলায় হিন্দুদের বাড়ি এবং দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু মন্দির।
হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ
সেনা
বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান একতা পরিষদ জানিয়েছে, প্রায় ৩০০ জন হিন্দুর দোকানঘর এবং বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
প্রায় ২৪ টির মতো মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। ৪০ জনের
বেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা
মনে করেন, হিন্দুরা শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগের
সমর্থক। সেই ভাবনা থেকেই হিন্দুদের (Bangladeshi Hindus)
উপরে বেশি আঘাত নেমে আসছে বলে অভিযোগ। যদিও
অনেক জায়গায় মুসলিমরা মন্দির পাহারা দিয়েছেন এমন ছবিও দেখা গেছে। কিন্তু সকল সংখ্যালঘুর
নিরাপত্তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি বাংলাদেশের সেনাবিহিনী।
বাংলাদেশে কমছে হিন্দুদের সংখ্যা
(Bangladeshi Hindus)
জানা গেছে, বাংলাদেশে ২০ টির বেশি জেলায় হিন্দুরা আক্রান্ত
হয়েছেন। বিশেষ করে দিনাজপুর, বগুড়া, রংপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নড়াইল, যশোর, পটুয়াখালী, খুলনা, নরসিংদী, সাতক্ষীরা, টাঙ্গাইল,
চট্টগ্রাম, হাবিবগঞ্জ, ঢাকা সহ বিভিন্ন
জায়গায় হিন্দুদের উপর আক্রমণ বজায় রয়েছে। ভাঙচুর শেষে (Bangladeshi Hindus)
তাঁদের সম্পত্তি লুটপাট করা হয়েছে। বাংলাদেশ
২৫ শতাংশ থেকে কমতে কমতে হিন্দুদের জনসংখ্যা ৮ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে।