নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার শাসনের নাটকীয় পতনের (Bangladesh Crisis) পর
ভারত সরকার বাংলাদেশের সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। মঙ্গলবার এ
কথা জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ।
আন্দোলনের জেরে হাসিনা সরকারের পতন (Bangladesh Crisis)
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার
ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ছাত্ররা জুলাই মাস থেকে আন্দোলন শুরু করে। তাতে যোগ দেয় জামাত এবং বিএনপি। এরপর আন্দোলনের মোড় ঘুরে যায়। হাসিনা প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ বিভিন্ন গোষ্ঠী এই বিক্ষোভ এবং হিংসায় যোগ
দেওয়ার কারণে আন্দোলন উগ্র রূপ নেয় (Bangladesh Crisis) এবং
অবশেষে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং ভারতে চলে আসেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে টানা চতুর্থবারের জন্য জয়ী হাসিনাকে ছয় মাসের
মাথায় ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়।
বিদেশ মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া (S Jaishankar)
বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) রাজ্যসভায় বলেন,“স্থিতিশীলতা
এবং শান্তি গুরুত্বপূর্ণ। ১৯ হাজার ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তাঁদের
মধ্যে একটা বড় অংশকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হলেও, অনেকেই ওখানে
থেকে গিয়েছেন। বাংলাদেশের বর্তমান সেনাবাহিনী প্রশাসনের কাছে তাঁদের নিরাপত্তার
কথা বলা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার চলছে, মন্দির (Bangladesh
Crisis) ভাঙচুর হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।
সূত্রের খবর, ভারতের উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকরা বাংলাদেশের সেনা
প্রধান ওয়াকার উজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং
হিংসা বন্ধ করতে অনুরোধ করেছেন দরকার।
সাহায্যের জন্য প্রস্তুত ভারত
ভারতের (S Jaishankar) তরফে
জানানো হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা এবং শান্তি বজায় রাখতে তাঁদের
প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে ভারত প্রস্তুত। হাসিনার ভারতে আগমনের পর এখনও পরিস্থিতির বদল হচ্ছে। ফলে ভারত নতুন
নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর সোমবার থেকে এ
পর্যন্ত ১৫০ জনের বেশি মানুষ খুন হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে খুন করার পর
তালিবানি কায়দায় রাস্তায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের
রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। সারাদিনের অস্থিরতা এবং উত্তেজনার পর ধীরে ধীরে মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি
স্বাভাবিক হচ্ছে। বাস ও যানবাহন রাস্তায় নামতে শুরু
করেছে। ব্যবসায়ীরা অল্প হলেও কিছু দোকানপাট
খুলেছেন। ব্যাংক খুলেছে ফের। তবুও মানুষ রাস্তায়
বের হতে ভয় পাচ্ছেন। পরিস্থিতি এখনও
থমথমে।