নিউজ ডেস্ক: এখনও অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। প্রতিবেশি দেশটিতে হিংসার শিকার হচ্ছেন বহু সংখ্যালঘুরা। বাংলাদেশের এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার দুপুর ১ টা নাগাদ প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেন। তবে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার আগেই তাদের আটকে দিতে সক্ষম হয়েছে বিএসএফ (BSF on Bangladesh Border)। যদিও এর জন্য নিরাপত্তাবাহিনীকে কোনও রকম কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়নি। গুলি চালানোরও কোনও দরকার পড়েনি।
বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই শয়ে শয়ে শরণার্থীরা কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে চাইছেন। বুধবার দুপুর থেকেই দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের সীমান্তে ভিড় করেছেন বহু বাংলাদেশি। কার্যত কাঁটাতারহীন সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির সীমান্তে দেখা গিয়েছে, কাতারে কাতারে মানুষ ভারতে প্রবেশ করার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন।
এমন ঘটনা (Bangladesh Crisis) ঘটতে পারে তার আন্দাজ আগে থেকেই পেয়েছিল বিএসএফ। তাই সোমবারের পর থেকেই সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ায় তাঁরা। বুধবার কিছু মানুষ আসা পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিএসএফ (BSF on Bangladesh Border) সীমান্তেও বাহিনী সংখ্যা বাড়ায়। শরণার্থীদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন সকলে। বিএসএফের দাবি, এই বাংলাদেশিরা মূলত সানসেরপুরা, ধামেরঘাট, চিরাকুটি, লাখিপাড়া, বোনাগ্রাম, কাঠুমারি, পানিডুবি ও বানিয়াপাড়ার বাসিন্দা। এই গ্রামগুলি সীমান্ত থেকে মাত্র ২-৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
বিএসএফ জানায়, প্রায় ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক যারা মূলত হিন্দু তারা এসে জমায়েত করেন জলপাইগুড়ি জেলার মানিকগঞ্জের সাতকুড়া সীমান্তে। প্রত্যেক শরণার্থীদের দাবি ছিল, বিএসএফ পারলে গুলি করে তাঁদের মেরে দিক, কিন্তু তাঁরা দেশে ফিরে যাবেন না। এ প্রসঙ্গে, হলদিবাড়ি ছিটমহলের বাসিন্দা জয়প্রকাশ রায় বলেন, ‘‘মহিলারা আর্তনাদ করছেন। বাঁচান বাঁচান বলে চিৎকার করছেন। একটু আশ্রয় চাইছেন। এ দৃশ্য দেখা যায় না!’’ তবে বিএসএফ সূত্রে খবর, উপরতলায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেখান থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত শরণার্থীদের কোনও পরিস্থিতিতেই এ পারে ঢুকতে দেওয়া হবে না।