নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar Medical) কতর্ব্যরত ডাক্তারি পড়ুয়াকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় তোলপাড় সারা দেশের চিকিৎসক সংগঠন (Doctors Organization)। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে সারা দেশের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইন লাগু করার দাবি জানিয়েছিল ন্যাশনাল মেডিক্য়াল অর্গানাইজেশন। ঘটনার (RG Kar Medical) প্রতিবাদে সোমবার থেকে দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিল ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার দেশের হাসপাতালগুলিতে একাধিক পরিষেবা বন্ধ রেখেছে এই সংগঠন। জানানো হয়েছে, ‘ইলেক্টিভ সার্ভিস’ অর্থাৎ জরুরি নয় এমন অস্ত্রোপচার-সহ বিভিন্ন পরিষেবা, বন্ধ রাখা হয়েছে।
ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের চিকিৎসকদের (Doctors Organization) মতে, দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের চেয়েও এই ঘটনা নৃশংস। তাঁদের কথায়, আরজি করে (RG Kar Medical) যা ঘটল, তারপরে তো চিকিৎসকদের কাছে তাঁদের কর্মস্থলও নিরাপদ নয়। আরজি করের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন চণ্ডীগড়ের চিকিৎসকরা। সারা দেশের চিকিৎসক সংগঠনগুলির অভিযোগ, এ ঘটনা রাতারাতি ঘটেনি। দীর্ঘদিন ধরেই নিরাপত্তায় গলদ ছিল
নির্বাচিত পরিষেবা, যা জরুরি নয় এবং অগ্রাধিকারমূলক চিকিৎসার আওতায় পড়ে না, সেগুলি এই ধর্মঘটের অংশ হিসাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। এই ধর্মঘটের নেতৃত্ব দিচ্ছে ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (FORDA), যারা সোমবার থেকে সারা দেশে নির্বাচিত পরিষেবা বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে। চিকিৎসকরা তাদের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রককে জানিয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়বিচারের আর্জি জানানো হয়েছে।
সংগঠনের তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দেওয়া চিঠিতে পাঁচটি মূল দাবি জানানো হয়েছে— চিকিৎসকদের দাবিগুলি গ্রহণ, দায়িত্বশীল সমস্ত কর্তৃপক্ষের পদত্যাগ (যার মধ্যে আছেন প্রিন্সিপাল, ডিন, পালমোনারি মেডিসিনের প্রধান, এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (RG Kar Medical) পুলিশ আউটপোস্টের এএসপি), পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, মৃত চিকিৎসকের জন্য দ্রুত ন্যায়বিচার, এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা প্রোটোকল প্রবর্তন। এছাড়াও, একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।
দিল্লিতে অন্তত ১০টি সরকারি হাসপাতাল, যার মধ্যে রয়েছে আরএমএল হাসপাতাল, সাফদারজং হাসপাতাল এবং মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজ, এই ধর্মঘটে যোগ দিয়েছে এবং সমস্ত বহির্বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার এবং ওয়ার্ড পরিষেবা স্থগিত রেখেছে। তবে জরুরি পরিষেবা অব্যাহত রয়েছে।
মহারাষ্ট্রে, মহারাষ্ট্র অ্যাসোসিয়েশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস (BMC MARD) ১৩ অগাস্ট মঙ্গলবার থেকে নির্বাচিত পরিষেবা স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে। কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Medical) চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে চণ্ডীগড় এবং লখনউ সহ অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভ লক্ষ্য করা গিয়েছে।
এ রাজ্যেও বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করেন চিকিৎসকরা। কল্যাণী এইমস থেকে শুরু করে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রবল প্রতিবাদে সামিল হন জুনিয়র ডাক্তাররা।