নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার এক নেতার সঙ্গে দেখা গেল প্যারিস অলিম্পিক্সে জ্যাভলিনে সোনা জয়ী পাক তারকা আরশাদ নাদিমকে (Arshad Nadeem)। সম্প্রতি সোশ্যাল সাইটে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যাচ্ছে, নাদিম মিলি মুসলিম লিগের যুগ্ম সম্পাদক মহম্মদ হারিস দারের সঙ্গে কথা বলছেন। মিলি মুসলিম লিগকে লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba) রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে ধরা হয়।
এই মুহূর্তে পাকিস্তানের ক্রীড়াজগতে আলোচনার কেন্দ্রে আরশাদ নাদিম (Arshad Nadeem)। অলিম্পিক্সে দেশকে প্রথম ব্যক্তিগত সোনা এনে দিয়েছেন এই জ্যাভলিন থ্রোয়ার। অলিম্পিক্স রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন তিনি। ৯২.৯৭ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছোড়েন নাদিম। তাঁকে ১০ কোটি টাকা পুরস্কার দিয়েছে পাকিস্তান। ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নাদিমকে অলিম্পিক্সে সোনা জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba) ওই নেতা। নাদিমের এই জয় পুরো মুসলিম সম্প্রদায়ের মাথা উঁচু করেছে বলে মত প্রকাশ করেন মিলি।
এই ঘটনার পর থেকেই সন্দেহের ছায়া পড়েছে আরশাদ নদিমের (Arshad Nadeem) ওপর। তাঁর সঙ্গে হারিস দারের সম্পর্ক কী ধরনের ছিল, সেই নিয়ে তদন্তের দাবি উঠেছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান সরকার এই বিষয়ে কতটা সচেতন, সেই প্রশ্নও তোলা হচ্ছে। হারিস দারের বিরুদ্ধে ভারত-বিরোধী বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেছেন, ভারতকে কাশ্মীর ছেড়ে যেতে হবে। এই ঘটনার পর থেকে ভারতেও তোলপাড় শুরু হয়েছে। এই ঘটনা স্পষ্ট করে দিয়েছে, সন্ত্রাসবাদ ক্রীড়া জগতকেও প্রভাবিত করতে পারে। লস্কর-ই-তৈবা একটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন। ২০১৮ সালে আমেরিকা সরকার মিলি মুসলিম লিগকেও জঙ্গি সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করে। মহম্মদ হারিস দার সেই সময় থেকেই জঙ্গি তালিকায় রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba) স্টুডেন্ট উইং আল-মহম্মাদিয়া স্টুডেন্টসের একজন নেতা ছিলেন। এই সংগঠনটিকেও আমেরিকা সরকার ২০১৬ সালে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করে।