নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে গোটা দেশ। সকলেই সুবিচারের জন্য লড়ছেন। আরজি কর কাণ্ডের এই ঘটনার প্রায় দেড় সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মাধ্যমে সামনে এসেছে নির্যাতিতার নাম। ছড়িয়ে পড়েছে ছবিও। এবার তা নিয়েই প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রসঙ্গত, এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেখানেই মামলা চলাকালীন কার্যত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
এ প্রসঙ্গে আদালত (Supreme Court) জানিয়েছে, ”আমরা নির্দেশ দিচ্ছি মৃতের নাম ছবি প্রকাশ করা যাবে না। সমস্ত স্যোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম থেকে মৃতের ছবি সরাতে হবে।” আসলে এদিন মামলা চলাকালীন দুজন আইনজীবী অভিযোগ করেছিলেন যে মৃতের ছবি নাম কোথাও কোথাও প্রকাশ করা হচ্ছে। এর পরেই প্রধান বিচারপতি বলেন, “নির্যাতিতার নাম ও ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকী ময়নাতদন্তের আগের ও পরের ভিডিয়ো ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেহ দেখা যাচ্ছে। একটা প্যারামিটার আছে, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইনও আছে। তারপর কীভাবে এটা হল?” এরপরেই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘একজন তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে, তাঁকে এইটুকু মর্যাদা দেওয়া উচিত।’ প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের মুখে আইনজীবী (রাজ্য সরকারের তরফে) কপিল সিবল বলেন, ‘পুলিশ যাওয়ার আগেই ছবি তোলা হয়েছে। আমরা পুরো জায়গাটা ঘিরে রেখেছিলাম।’
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) গাইডলাইনই শুধু নয়, নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আইনও আছে। ভারতীয় আইনে ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার ঘটনায় নির্যাতিতার নাম, পরিচয় বা ছবি প্রকাশ করা যায় না। এমন কোনও তথ্য যা প্রকাশ করলে নির্যাতিতার পরিচয় জানা যেতে পারে, তাও প্রকাশ করা যায় না। আসলে আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালের চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় কলকাতা সহ গোটা রাজ্য। এই আবহে মানুষ প্রতিবাদ করছেন রাস্তায় ও সোশ্যাল মিডিয়ায়। এহেন পরিস্থিতিতে অনেকেই নির্যাতিতার ছবি পোস্ট করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাই আইন অনুযায়ী নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনা বন্ধ করতে এই নির্দেশ দিল আদালত।